নিউজ ডেস্ক : গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার সঙ্গে কমেছে মূল্যসূচক। সপ্তাহজুড়ে দাম কমার তালিকায় বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান নাম লেখালেও কিছু প্রতিষ্ঠান হেঁটেছে বিপরীত পথে। সপ্তাহজুড়ে এসব প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে। এই দাম বাড়ার তালিকায় নেতৃত্ব দিয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার আগ্রহের শীর্ষে চলে আসে। ফলে সপ্তাহজুড়েই দাম বেড়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষস্থান দখল করেছে এই কোম্পানির শেয়ার।
গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪ টাকা ৭০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে ৩৬ কোটি ৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৯০ পয়সা। আগের সপ্তাহের শেষে যা ছিল ২৭ টাকা ২০ পয়সা।
লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৮৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
হঠাৎ এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগে ২০২১ সালে ১০ শতাংশ নগদ, ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ এবং ২০১৯ সালেও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পায় বিনিয়োগকারীরা।
সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি এক টাকা ৬ পয়সা মুনাফা করেছে। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় এক টাকা ৪১ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালের প্রথম নয় মাসের ব্যবসায় মুনাফা কমেছে।
৭৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪১১টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে আছে ৪৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৩৯ দশমিক ২৬ শতাংশই আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।
রূপালী ইন্স্যুরেন্সের পরে গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ছিল ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৭ দশমিক ২২ শতাংশ, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড-১ এর ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং কে অ্যান্ড কিউয়ের ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ দাম বেড়েছে।
