৪ মাস পর ৮শ কোটি ছাড়ালো লেনদেন

নিউজ ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর দেশের শেয়ারবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই মূল্যসূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে লেনদেন। ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে যাওয়া লেনদেন বেড়ে ৮০০ কোটি টাকার ঘরে উঠে এসেছে।

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। পাশাপাশি ডিএসইতে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বরের পর আবার ৮০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকে। তবে লেনদেনের শেষ দিকে কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। এরপরও সবকটি মূল্যসূচকের মোটামুটি বড় উত্থান দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ৯৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৯টির। আর ১৭৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা দুটি প্রতিষ্ঠান দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। দিনের সর্বোচ্চ দামে এই কোম্পানি দুটির শেয়ার বিপুল পরিমাণ ক্রয় আদেশ এলেও বিক্রিয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে।

দাম বাড়ার তালিকা বড় হওয়ায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৩১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮০০ কোটি ৮৪ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৭৪ কোটি ২৭ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১২৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বরের পর বাজারটিতে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো। গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর লেনদেন হয় ৮৫৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এরপর ডিএসইতে আর একদিনে ৮০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়নি।

এই লেনদেন বাড়াতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। দিনভর কোম্পানিটির ৪৪ কোটি ৯৯ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ৩৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিচ হ্যাচারি, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এডভেন্ট ফার্মা, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইউনিক হোটেল এবং রূপালী ব্যাংক।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ২০৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৫টির এবং ৮৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৭ নয়, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল বন্ধ: মন্ত্রণালয়
পরবর্তী নিবন্ধস্বর্ণালংকার পরিবহনে পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবি বাজুসের