নিউজ ডেস্ক : খাদ্যমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভোক্তার ওপর চাপ কমাতে দ্রুত ব্যবস্থার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) টানা চতুর্থ মেয়াদে নতুন করে সরকার গঠন করার পর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া স্বতন্ত্রদের মধ্যে বিজয়ী হন ৬২ জন, যাদের মধ্যে ৫৯ জনই আওয়ামী লীগই নেতা। আর জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে। দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটিতে জয় পেয়েছে কল্যাণ পার্টি। একটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
গত ৯ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেট প্রকাশের পরদিন ১০ জানুয়ারি (বুধবার) শপথ নেন নবনির্বাচিত এমপিরা। আর এমপিদের শপথ গ্রহণের একদিন পর বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) শপথ নেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ওইদেন বিকেলেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমোদন দিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সন্ধ্যায় শপথের মধ্যে দিয়েই টানা চতুর্থ মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিলো আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে ইতিহাস গড়লেন। এর আগে চার মেয়াদে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ মেয়াদে ৩৬ সদস্যের মন্ত্রিসভায় ২৫ মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী ১১ জন। যেখানে আগের মন্ত্রিসভার প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থেকে এবার মন্ত্রী হচ্ছেন তিনজন। তারা হলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
পূর্ণমন্ত্রীর তালিকায় থাকা ২৫ জনের মধ্যে রয়েছেন: আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১), ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪), আসাদুজ্জামান খান (ঢাকা-১২), ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), মো. তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯), মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), আনিসুল হক (বাহ্মণবাড়িয়া-৪), মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), মো. আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), মো. আব্দুর রহমান (ফরিদপুর-১), নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), আব্দুস সালাম (ময়মনসিংহ-৯), মহিবুল হাসান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৯), ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১), মো. ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২), মো. জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩), নাজমুল হাসান (কিশোরগঞ্জ-৬)। টেকনোক্র্যাট ক্যাটাগরিতে ইয়াফেস ওসমান ও সামন্ত লাল সেন পূর্ণমন্ত্রীর তালিকায় রয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রীদের তালিকায় রয়েছেন: বেগম সিমিন হোমেন (রিমি) (গাজীপুর-৪), নসরুল হামিদ (ঢাকা-৩), জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩), মোহাম্মদ আলী আরাফাত (ঢাকা-১৭), মো. মহিববুর রহমান (পটুয়াখালী-৪), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২), জাহিদ ফারুক (বরিশাল-৫), কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি), বেগম রুমানা আলী (গাজীপুর-৩), শফিকুর রহমান চৌধুরী (সিলেট-২), আহসানুল ইসলাম (টিটু) (টাঙ্গাইল-৬)।