রমজানের পণ্যের সংকট নেই, সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা

নিউজ ডেস্ক : রমজানে ব্যবহার করা হয় এমন পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, রমজানের পণ্যের কোনো সংকট নেই। কেউ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার (২১ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জরুরি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, রমজান আসছে, আমরা লেটেস্ট কারেন্ট সিচুয়েশন দেখলাম, কোনো পণ্যের শর্টেজ নেই। রজমানের সময় যেসব আইটেম লাগে, চিন্তার কোনো কারণ নেই। শর্টেজেরও কোনো কারণ নেই। কিছু মহল চেষ্টা করে কীভাবে সিচুয়েশনকে ডি-স্ট্যাবলাইজ করা যায়। যেখানে মার্কেট ইকোনমি অপারেট করছে সেখানে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবেই।

তিনি বলেন, কীভাবে প্রাইস লেভেল ধরে রাখা যায় সে ব্যাপারে কাজ করছে সরকার। আমরা মনে করি চিন্তার কোনো কারণ নেই। দরকার হলে আমরা অনেক কঠোর পদক্ষেপের দিকে চলে যাব। দরকার হলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দিকে যাব, কাউকে ছাড় দেব না।

এখনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, না। এখনো হয়নি।

তাহলে জরুরি বৈঠকের কারণ কী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পর ন্যাচারালি সবাই তো বলছে কী করছেন, কী করলেন?

আপনাদের টার্গেট কি শুধু রমজান? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুধু রমজান নয়, রমজান নিয়ে চিন্তা তো আছে মানুষের মধ্যে, সেজন্য…।

চালের দাম বাড়ানোর পর সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে? অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আলোচনা করছি, দেখছি। দেখেন আপনারা। ইতিমধ্যে দাম কমেছে।

ব্যবসায়ীরা এখন ট্রাক নিয়ে ক্ষেত থেকে আলু তুলছে। তাদের লাভ হচ্ছে। বাজারে মনোপলি হচ্ছে, সেখানে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন? এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা তো অ্যাকশনে যাচ্ছি।

পণ্যের দাম কতদিনের মধ্যে কমবে প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, সেভাবে এটা কখনোই বলা সম্ভব নয়।

আমদানিকে প্রাধান্য দেবেন কি না, এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, দরকার হলে আমদানি করতে হবে, এখনো তো এ রকম কিছু হয়নি।

রিজার্ভ বাড়াতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, করছি তো আমরা। আপনারা দেখছেন আমাদের যারা ডেভেলপমেন্ট পার্টনার্স তাদের সঙ্গে মাল্টি কারেন্সি অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করছি। শুধু ডলার দিয়ে তো আমরা করছি না।

বেসরকারি খাত সংকটের মধ্যে আছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা কি চলতে পারছে, আপনি কি মনে করেন? অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রাইভেট সেক্টর তো প্রাইভেট সেক্টর। সরকারের প্রণোদনা ছাড়া আর মাল্টিপল অ্যাপ্রোচ ছাড়া তো অন্য কিছু করা যায় না। তবে ব্রড সেক্টরগুলো আন্ডার কন্ট্রোলড আছে।

এসময় ডলার সংকট নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, রজমানের যেসব পণ্য আমদানি করি গত বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৮টি প্রোডাক্টের যত এলসি হয়েছিল, এবার তার থেকে ১০-১৫ শতাংশ বেশি এলসি হয়েছে। পণ্যগুলো সময়মতো দেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করছি। কোনো মধ্যস্বত্বভোগী সমস্যা না করলে পণ্যের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। পণ্যের কোনো ঘাটতি হবে না।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা জাতিসংঘ মহাসচিবের
পরবর্তী নিবন্ধ১৯ দিনে এলো ১৩৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার