পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন। তিনি পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করবেন। তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামলূক ভাষণও দেবেন।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ‘স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুরু হলো পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টল পরিদর্শন করবেন।

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ২০২৩ সালে অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজ, মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা প্রদর্শন, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য ৪০০ জন বিপিএম ও পিপিএম পদক পাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’ , ৬০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা প্রদর্শন, কর্তব্য নিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা)’ এবং ২১০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)’ পদক প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদেরকে পদক প্রদান করবেন। প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদেরকে পদক প্রদান করবেন।

প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদলের মনোমুগ্ধকর প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন। এরপরে তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ শেষে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)-এর স্টল পরিদর্শন এবং পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কল্যাণ প্যারেডে অংশগ্রহণ করবেন।

বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীকে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ ও জনবান্ধব বাহিনীতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রমে এসেছে গতিশীলতা এবং কর্মচাঞ্চল্য। পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির সংযোজন, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিশেষায়িত নতুন নতুন ইউনিট গঠনসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্মেলন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীবর্গের সম্মেলন, আইজি’ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র-মাদক উদ্ধার প্রভৃতি পুরস্কার বিতরণ, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কর্মরত পুলিশ অফিসারদের পুনর্মিলনী, পুলিশ নারীকল্যাণ সমিতির বার্ষিক সমাবেশ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে আইজিপির সম্মেলন এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ইত্যাদি।

পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মঅধিবেশনে গত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাইকোর্টে ফিরলেন বিচারপতি শাহিনুর, ট্রাইব্যুনালে নতুন চেয়ারম্যান
পরবর্তী নিবন্ধ‘সাইবার পুলিশ ইউনিট’ গঠন করা হবে: প্রধানমন্ত্রী