নিউজ ডেস্ক : রমজানে নিত্যপণ্যের দাম যেন না বাড়ে সেজন্য সরকার খুব সজাগ আছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী। এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্ট্যান বর্নের নেতৃত্বে ইউএস কৃষি বিভাগের নয় সদস্যের প্রতিনিধিদল, ঢাকায় নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি ও কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস আলাদা বৈঠক করেন।
বাজার নিয়ে কিছুদিন আগে কৃষি, বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা হয়েছে। আপনারা কী মানুষকে স্বস্তি দিতে পারবেন- এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাজার ব্যবস্থাপনায় আমরা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি। মজুতদারদের বিরুদ্ধে এবার খুবই সতর্ক সরকার। কোনোভাবেই পণ্য মজুত করে ভোক্তাদের কৃত্রিম সংকটে ফেলতে দেওয়া হবে না। রমজান মাস আসতেছে, জিনিসপত্রের দাম যাতে না বাড়ে- এ বিষয়ে আমরা খুব সজাগ আছি। সম্প্রতি আমরা তিন মন্ত্রী (খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী) মিটিং করেছি, যখনই প্রয়োজন হবে আমরা একত্রে বসবো। প্রয়োজনে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও মিটিং করবো।’
ছোট ব্যবসায়ীরা যাতে বিপদে না পড়ে সেটা কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। এছাড়া শিগগির পেঁয়াজ ও আলুর দাম আরও কমবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের সহযোগিতায় পাটের চাষ শুরু করতে চায় মিশর
বৈঠকে মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি মিশরে পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, এক সময় মিশরে পাটের চাষ হতো, এখন হয় না। বর্তমানে মিশরে পাট প্রক্রিয়াজাতকরণের ভালো ইন্ড্রাস্ট্রি রয়েছে। আমরা মিশরে পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে চাই। এক্ষেত্রে জাত, বীজ ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মিশরের প্রস্তাবটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। মিশর ও বাংলাদেশের মধ্যে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে। সেটিকে কাজে লাগিয়ে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য মিশরকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
কানাডার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠালসহ শাকসবজি নেওয়ার অনুরোধ করেন কৃষিমন্ত্রী। এছাড়া কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, এগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে কানাডার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এসব বিষয়ে সক্রিয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস। বাংলাদেশের কৃষিকে আরও বেশি রপ্তানিমুখী করা এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে আম, আনারস প্রভৃতির জুস রপ্তানি করা যেতে পারে বলে জানান তিনি।
কানাডার ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন ওর্গানাইজেশনের (টিএফও) সঙ্গে দেশের ব্যবসায়ীদের সংযোগ ঘটানোর বিষয়েও উদ্যোগ দেবেন বলে জানান তিনি।
ইউএস কৃষি বিভাগের প্রতিনিধিদল বৈঠকে বাংলাদেশে সয়াবিন রপ্তানি এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আগ্রহের কথা জানান বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।