হয়রানি বন্ধে এনবিআরের অডিট কার্যক্রম সহজ করার দাবি

নিউজ ডেস্ক : হয়রানি বন্ধে সম্পূর্ণ অটোমোশন না হওয়া পর্যন্ত করদাতাদের জন্য অডিট কার্যক্রম সহজ করার দাবি জানিয়েছে বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড)। পাশাপাশি আংশিক রপ্তানিকারকদের জন্য কাঁচামালের শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধা সহজীকরণসহ একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

অন্যদিক অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) আমদানি পর্যায়ে উৎপাদনকারীর জন্য অগ্রিম আয়কর ও বেশকিছু পণ্যে শুল্ক ছাড় চেয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাক বাজেট আলোচনায় প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভায় সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিল্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অটোমেশন প্রক্রিয়া চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যা সম্পূর্ণ কার্যকরী হলে অডিটসহ অন্যান্য কর প্রতিপালনীয় বিষয়সমূহ স্বচ্ছ এবং সহজতর হবে। কিন্তু সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় না হওয়া পর্যন্ত হয়রানি বন্ধে করদাতদের জন্য চলমান প্রক্রিয়ায় অডিট কার্যক্রম কীভাবে সহজতর করা যায় সেই দিকে জোর দেওয়া প্রয়োজন।

প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, তিন বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য সফল কর প্রদানের পরে, তারা ন্যূনতম ৫ বছরের জন্য কোনো আয়কর নিরীক্ষার (ব্যক্তি বা কোম্পানি) অধীনে থাকা উচিত নয়। এছাড়া এনবিআর থেকে সর্বোচ্চ কর/ভ্যাট সম্মান পাওয়া কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের পরবর্তী ৩ বছরের জন্য কোনো অডিট প্রক্রিয়ার অধীনে থাকাও উচিত নয়। অডিটযোগ্য ফাইল নির্বাচন এবং একটি অডিট প্রক্রিয়ার ওপর করদাতাদের জন্য সুনির্দিষ্ট এবং সহজ অডিট গাইডলাইন প্রণয়ন করা উচিত।

ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, ইপিজেডের কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সোলার প্যানেল স্থাপন করেছে। এর ফলে একদিকে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অবদান রাখছে এবং অন্যদিকে পরিবেশবান্ধব গ্রিন এনার্জি উৎপাদন করে দেশকে পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা করছে। ইপিজেডের বিনিয়োগকারীরা শিল্প ইউনিটে সোলার প্যানেল স্থাপন ও ব্যবহারের জন্য বেশ কিছু পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বৈষম্য দূরীকরণে ৬টি ইপিজেডে ৪৪৯টি শিল্প ইউনিটের জন্য শুল্কমুক্ত সোলারের কাঁচামাল আমদানি সুবিধা দেওয়া উচিত।

৪৩টি সেবার বিপরীতে আয়কর রিটার্ন জমার বাধ্যতামূলক করার বিধানটি বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এটার গবেষণা দরকার। নতুন ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের আওতায় আনতে এটা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, কোম্পানির এবং ট্রাস্টের কার্যক্রম ভিন্ন হলেও দুটির ক্ষেত্রে একই ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ করহার নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রাস্টের কর্মকাণ্ড কোম্পানি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নতর, তাই তাদের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিপালনে করহার ভিন্ন হওয়াও দরকার।

রপ্তানিকারক পোল্ট্রি, মৎস্য চাষ থেকে আয়ের জন্য হ্রাসকৃত করহার প্রযোজ্য রয়েছে, যা দেশের কৃষি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকে গতিশীল করেছে। এছাড়া চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশনগুলো বিভিন্ন পর্যায়ে রেয়াত পেয়ে থাকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৯ হাজার ৭২৭ মেগাওয়াট
পরবর্তী নিবন্ধরোনালদোর ফেরার দিনে হারলো আল নাসর