প্রয়োজনে নিত্যপণ্য পরিবহনে ট্রাকের ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হবে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : প্রয়োজনে নিত্যপণ্য পরিবহনে ট্রাকের ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হবে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বাজারে কারসাজি ও মজুমদারি কমে এসেছে দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ এগুলো করার চেষ্টা করছে আপনাদের মাধ্যমে বা কোথাও থেকে পাচ্ছি না। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। ট্রান্সপোর্ট, ট্রাকে পণ্য সরবরাহ, বিভিন্ন বাজার ব্যবস্থাপনা-এ জায়গাগুলোতে অনেক উন্নতি হয়েছে। কারওয়ান বাজারসহ আমাদের যে পাইকারি বাজারগুলো রয়েছে, সেখানে ব্যবস্থাপনা এবং মাল পরিবহন কিন্তু অনেক স্মুথ হয়েছে। আমরা আরও ভালো করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় আমরা হয়তো এ সপ্তাহে লক্ষ্য করবো। সামনে রমজান এবং ঈদ কেন্দ্র করে প্রতি ট্রাকের যে পণ্য পরিবহন ভাড়া, সেটা যাতে বেড়ে না যায়। এটা আমার দৃষ্টিতে ছিল না, গত বৃহস্পতিবার এটা আমার দৃষ্টিতে এসেছে।’

যারা পণ্য পরিবহন করেন তাদের সঙ্গেও আমাদের একটু বসতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমরা ২০ তারিখের পরে তাদের সঙ্গেও বসবো। যাতে ট্রাক এবং পরিবহনে বিশেষ করে আমাদের নিত্যপণ্যের পরিবহনে যাতে ভাড়া না বাড়ায় সেই বিষয়ে আমরা তাদের অনুরোধ করবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে আমরা তাদের জন্য একটা গাইডলাইন ঠিক করে দেব। বাসের যেমন ভাড়া নির্ধারণ করা আছে, প্রয়োজনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনের জন্য একটা নির্ধারিত ট্যারিফ আমরা বিভিন্ন জেলা থেকে ঠিক করে দেব, যদি প্রয়োজন হয়।

চাঁদাবাজির কারণেও পণ্য পরিবহনে ভাড়া বেড়ে যায়। মন্ত্রিসভা বৈঠকেও বিষয়টি আলোচিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী চাঁদাবাজি রোধে পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলেই আহসানুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন পর্যায়ে, আমি চট্টগ্রামে যখন গিয়েছিলাম সেখানে পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি নিশ্চিতভাবে বলেছেন, চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম বিভাগকে তারা কঠোর নজরদারির মধ্যে রেখেছেন। পণ্য পরিবহনে কোনো ধরনের ডিজরাপশন বা কারও কোনো স্লিপ দিয়ে টাকা-পয়সা তোলার কোনো সুযোগ নেই। একইভাবে আমরা বাকি জায়গা গুলোতেও চেষ্টা করছি। মাঠ পর্যায়ে আমাদের বিভিন্ন এজেন্সির যারা আছেন তারা কাজ করছেন। দু-একটা জায়গায় এখনও ই-আছে, সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আরও পরিষ্কার ছবি আপনাদের দিতে পারবে।


৩৩৩-তে ফোন দিয়ে পণ্যমূল্য নিয়ে অভিযোগ জানানোর অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে যেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে মূল্যটা পাবো সেদিন থেকে আমরা ৩৩৩ হটলাইন চালু করবো। ৩৩৩-তে দিতে হলে আমার একটা রেফারেন্স প্রাইস লাগে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন কৃষি পণ্যের বিক্রির দামসীমা পেলে সেটা আমরা ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবো এবং আমাদের ৩৩৩ নম্বর চালু করব। ইনশা আল্লাহ আগামী এক তারিখের মধ্যেই চালু করবো।’

তিনি আরও বলেন, ৩৩৩-তে জানানো অভিযোগ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আসবে। সেখান থেকে সেগুলো ডিসপোসাল হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বজুড়ে মেডিকেল সেক্টরে বড় মাফিয়া চক্র কাজ করে: হাইকোর্ট
পরবর্তী নিবন্ধরমজানের আগেই ভারত থেকে চিনি-পেঁয়াজ আমদানি করবে সরকার