নিউজ ডেস্ক : বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
একই সঙ্গে কলকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুতের গ্যাসের দামও প্রতি ঘনমিটার ৭৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে।
চলতি ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এটি কার্যকর হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অপারেশন শাখা–১ এর উপ-সচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা।
আর ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট ও স্মল পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য প্রতি ঘন মিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা। তবে বাসাবাড়ি ও পরিবহনের গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি।
বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো প্রতি ঘনমিটার গ্যাস কিনছে ১৪ টাকায় আর ক্যাপটিভে দাম ৩০ টাকা।
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ৩৪ পয়সা বাড়ছে। আগামী ১ মার্চ থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, বিদ্যুতে ভর্তুকি থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। বিদ্যুতে বর্তমানে সরকার বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়। তবে বাসাবাড়ির গ্রাহক ও শিল্পপর্যায়ে এখন দাম বাড়বে না। শুধু যে গ্যাস ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় সেই গ্যাসের দাম বাড়তে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দাম বাড়ানো হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে গ্যাসের দাম কমানো হবে। এই সমন্বয়ও মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কার্যকর করা হবে।
এদিকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ আরও বাড়বে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আদেশ আসতে পারে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।