নিউজ ডেস্ক : বিতরণ কোম্পানি টাকা নেয়, গ্যাস দেয় না, বিতরণ কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। চুক্তি থাকবে, গ্যাস না দিলে টাকা দিতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলা অডিটোরিয়ামে গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নসরুল হামিদ বলেন, যিনি কাজ পারবেন না, তাকে বাদ দেওয়া হবে। বক্স থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কেউ কাউকে জায়গা ছাড়তে চায় না। বাপেক্স ১০০ বছর ধরে কাজ করবে। তার জন্য ফেলে রাখতে হবে। বাপেক্সের একটি প্রতিযোগী থাকা উচিত।
অতীতের একটি ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন যারা বাইরে আছেন, তাদের সবাইকে সঙ্গে রাখতে হবে। ৮০ সালে টু-ডি করা হয়েছে। ৩৯ বছর পরে থ্রি-ডি, তাহলে এতদিন কেন বসে থাকলেন। জ্বালানিতে যারা ছিলেন, তারা টেকনিক্যাল পার্সন। তারা বলতেন, সম্ভাবনা নেই। আর সমালোচনা নয়। আসুন, একসঙ্গে দেশের জন্য কাজ করি।
তিনি বলেন, আমি চাই, গঠনমূলক আলোচনা হোক। আমাদের গ্যাস লাগবে। সমালোচনা রয়েছে, বিতরণ কোম্পানি টাকা নেয়, গ্যাস দেয় না। বিতরণ কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। চুক্তি থাকবে, গ্যাস না দিলে টাকা ফেরত দিতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ কি শুধু টেকনোলজি? টেকনোলজির সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন, কোয়ালিটি জ্বালানিও স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ।
নসরুল হামিদ আরও বলেন, রিজার্ভ কমে আসায় দেশীয় গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন কমতে শুরু করেছে। দুই তিন বছর কমবে আবার বাড়বে। কীভাবে ঘাটতি সামাল দেওয়া যায়, তার পরিকল্পনা থাকতে হবে। ৪৮ কূপ খনন প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী দুই বছরে ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস পাব। কিন্তু দুই বছরে চাহিদা ২০০০ হাজার এমএমসিএফডি বাড়বে। ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০ কূপ খনন করতে চান ভালো কথা, কোনটি কখন করতে চান, টাইমলাইন থাকতে হবে। সাফল্য দেখে মূল্যায়ন করা হবে। সাফল্য জিরো, আপনিও জিরো, আপনি বাদ পড়ে যাবেন।
সেমিনারে পেট্রোবাংলা ও কোম্পানিসমূহের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আলম। সভাপতিত্ব করেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম ও পেট্রোবাংলার জেনারেল ম্যানেজার (রিজার্ভ এবং ডাটা ম্যানেজমেন্ট) মেহেরুল হাসান।