দ্বিতীয় কার্যদিবসের শুরুতেই বড় পতনে শেয়ারবাজার

নিউজ ডেস্ক : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস দরপতনের পর দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি মূল্যসূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনেও ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।

প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ২২ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে তিনশ কোটি টাকার কম। সূচক ঋণাত্মক করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে গ্রামীণফোন ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ার।

এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবস মূল্যসূচক কমে। সেই সঙ্গে দরপতন হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের। তার আগের দুই সপ্তাহেও শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও দরপতন হয়।

এ পরিস্থিতিতে সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসই’র প্রধান সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে যায়।

শুরুতেই সূচকের বড় পতনে বড় ভূমিকা রাখে গ্রামীণফোন ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। কারণ সূচকে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখা গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম একদিনে যতটা কমা সম্ভব লেনদেনের শুরুতে ততটাই কমে যায়। একই অবস্থা হয় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর। পরবর্তী সময়ে গ্রামীণফোনের কিছু ক্রেতা ফিরে আসে। সেই সঙ্গে দাম কমার প্রবণতা কমে। ফলে সূচকেও ঋণাত্মক প্রবণতা কিছুটা কমেছে।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১টা ৪০ মিনিটে ডিএসইতে ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪১টির। আর ৬৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসই’র প্রধান সূচক কমেছে ২২ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৯৯ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩০৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৪ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৩৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে ৭২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধতিন মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা