পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে, দাম বাড়ার সুযোগ নেই: কৃষিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : রোজায় পণ্য সরবরাহে ঘাটতি নেই। তাই দাম বেড়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।

সোমবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আবাসিক প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমিনিকো স্কালপেল্লির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল, ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই ও বেলারুশের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী ইভগেনি শেস্তাকভের সঙ্গে পৃথক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোনোভাবেই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য, কৃষি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই দায়িত্ব পালন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, রোজায় পণ্য সরবরাহে ঘাটতি নেই। তাই দাম বেড়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই।

সিন্ডিকেটের কারণে দাম বাড়ছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের ধরিয়ে দিন এবং তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করুন। কোথাও সিন্ডিকেটের খবর পেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের অফিসাররা সেখানে গিয়ে হাজির হবে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

তিনি বলেন, ক্রেতার আচরণও অনেক সময় পণ্যের হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এখন আমার প্রয়োজন দুই লিটার তেল, বাজারে গিয়ে একবারে ১০ লিটার কিনলে তা অনেক সময় হঠাৎ করে দাম বাড়াতে পারে। এ আচরণেরও পরিবর্তন প্রয়োজন।

এর আগে বৈঠকে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং কৃষি গবেষণা জোরদার ও প্রযুক্তি বিনিময় প্রভৃতি বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ওয়েদার ইন্স্যুরেন্স চালু, খাদ্য অপচয় ও নষ্টের পরিমাণ কমাতে পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা এবং বিভিন্ন দেশে কর্মসূচিতে খাদ্য বিতরণের জন্য বাংলাদেশ থেকে খাদ্য কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহযোগিতা কামনা করেন। প্রতিনিধিদলে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সিমোন পার্চমেন্ট, সিনিয়র পার্টনারশিপ অ্যাডভাইজর মো. মোহসিন, হেড অব প্রোগ্রাম রিকার্ডো সুপ্পো, হেড অব সাপ্লাই চেইন ক্যাথরিন ক্লেয়ার কো উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক বৈঠকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই জানান, বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্যাক্টের আওতায় বাংলাদেশে এক বিলিয়ন ইউরো আসবে। সেখান থেকে কৃষিখাতে সহায়তা মিলবে। এছাড়া কৃষকদের জন্য স্মার্টকার্ড তৈরিতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপোশাক খাতের কিছু হলে দেশের অবস্থা অ্যাঙ্গোলার মতো হবে: দেবপ্রিয়
পরবর্তী নিবন্ধঅর্থ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এএএমসিএমএফ প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ