নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের টেলিভিশন বাজারের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন টিভির গ্রাহকপ্রিয়তা ও চাহিদা ইউরোপের বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সেইসঙ্গে ইউরোপের ১৪টিরও বেশি দেশে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটন টিভির রপ্তানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে ইউরোপের উত্তর-পশ্চিমের দেশ আয়ারল্যান্ডের বাজারে সপ্তম বারের মতো টিভি রপ্তানি করেছে ওয়ালটন।
ইউরোপের বাজারে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ালটনের গ্লোবাল বিজনেস ইউনিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সাঈদ আল ইমরান জানান, আয়ারল্যান্ডের বাজারে ওইএম (ওরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) পদ্ধতির আওতায় ২০১৯ সালে টিভি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করে ওয়ালটন। ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড ও ডিজাইন, উন্নত পিকচার কোয়ালিটি, অত্যাধুনিক ফিচার, আন্তর্জাতিকমানের ডিজাইন, টেকসই ও উচ্চ গুণগতমানের পাশাপাশি সময়োপযোগী বিপণন কৌশলের কারণে অতি অল্পসময়ের মধ্যে আইরিশদের নজর কাঁড়তে সক্ষম হয়েছে ওয়ালটনের তৈরি টিভি। ফলে দেশটির বাজারে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত টিভির ক্রেতা চাহিদাও বাড়ছে ব্যাপকহারে। যার প্রেক্ষিতে চলতি মাসে রিপিট অর্ডারের মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডে আবার টিভি রপ্তানির শিপমেন্ট সম্পন্ন করেছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, ইউরোপের বাজারে ২০১৯ সালে টিভি রপ্তানি শুরু করি আমরা। অতি অল্প সময়ের মধ্যে ইউরোপের বাজারে ক্রেতাদের মন জয় করে নিচ্ছে ওয়ালটন টিভি। ওয়ালটনের মোট টিভি রপ্তানি আয়ের প্রায় ৯৫ শতাংশই আসছে ইউরোপের বাজার থেকে।
তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারির প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে ইউরোপের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টিসহ প্রতিকূল বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতির মধ্যেও ইউরোপের বাজারে এক লাখ ইউনিটেরও বেশি টিভি রপ্তানি করেছে ওয়ালটন। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রিজার্ভে এসেছে প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা।
তিনি জানান, দেশের শীর্ষ টিভি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এখন ওয়ালটন। আমাদের লক্ষ্য- বিশ্বব্যাপী ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত টেলিভিশন ছড়িয়ে দিয়ে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করা। সেই লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বের সেরা ৫টি টেলিভিশন প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় পৌঁছানোর মিশন নিয়ে কাজ করছি আমরা।
জানা গেছে, ৩৫ টিরও বেশি দেশে, শতাধিক বিজনেস পার্টনারের মাধ্যমে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত টিভি রপ্তানি করছে ওয়ালটন। ওয়ালটন টিভির মোট রপ্তানির ৩৪ শতাংশ ডেনমার্কে, ১৮ শতাংশ জার্মানিতে, ২২ শতাংশ গ্রিসে, ১৫ শতাংশ ক্রোয়েশিয়া ও আয়ারল্যান্ডে, ৬ শতাংশ পোল্যান্ডে এবং ৫ শতাংশ আফ্রিকায় ও অন্যান্য দেশে হয়েছে।