নিউজ ডেস্ক : আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগের পাঁচ দিন ও পরের পাঁচ দিন যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহন বন্ধ রাখতে হবে। এছাড়া ঈদের আগের তিন দিন ও পরের তিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে।
বুধবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্মপন্থা গ্রহণের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে জানানো হয়, আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বে তিন দিন ও ঈদের পরে তিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে।
আবহাওয়া সংকেত অনুসরণপূর্বক লঞ্চ পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে; ঈদুল ফিতর কালবৈশাখী মৌসুমে বিধায় অধিকতর সতর্কতার সাথে নৌযান পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে।
রাতের বেলায় সকল প্রকার বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া আগামী ৬ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত দিন রাত সার্বক্ষণিক সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখতে হবে; অভ্যন্তরীণ নৌপথে ফিটনেস বিহীন নৌযান ও ফেরি চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।
অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী সাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়ার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলকাভিত্তিক/পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা নিতে হবে।
নৌপথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র হটলাইন নম্বর ১৬১১৩-তে যোগাযোগ করবেন।
সকল প্রকার যাত্রী হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা যাবে না। এক্ষেত্রে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা হলে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; কোনো ক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না।
ঈদের আগে পাঁচ দিন সদরঘাট হয়ে নির্গমনকারী সকল যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহন সম্পূর্ণরুপে বন্ধ এবং ঈদের পরে পাঁচ দিন অন্যান্য নদী বন্দর হতে সদরঘাটে আগনমকারী সকল যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে।
ঈদের আগে ও পরে লঞ্চের মাধ্যমে মোটরসাইকেল পরিবহন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে গত বছরে ঈদুল আজাহা উপলক্ষে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক নির্ধারিত হারে প্রতিটি লঞ্চে মোটরসাইকেল পরিবহনের জন্য ভাড়া অদায় করতে হবে।
যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাতের বেলায় স্পিডবোট চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার এবং দিনের বেলায় স্পিডবোট চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধানের বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে; নদীর মাঝপথ থেকে নৌকা দিয়ে লঞ্চে/নৌযানে যাত্রী উঠানো যাবে না। যাতে উঠতে না পারে সেজন্য নৌপুলিশ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক সার্বক্ষণিক টহল দিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।