ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪৯ হাজার ১৯২ কোটি টাকা

নিউজ ডেস্ক : টানা দরপতনে দেশের পুঁজিবাজার। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ৪৯ হাজার ১৯২ কোটি টাকা। আর লেনদেন কমেছে ৩১.০৭ শতাংশ।

পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৬.৫৭ শতাংশ বা ৪৯ হাজার ১৯২ কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইর সব সূচকও কমেছে। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪৪.৭২ পয়েন্ট বা ২.৩৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমেছিল ১৪১.৭৮ পয়েন্ট বা ২.২৭ শতাংশ।

এদিকে, ডিএসইএস সূচক কমেছে ৩৬.০৯ পয়েন্ট বা ২.৭০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ২৩.৯৩ পয়েন্ট বা ১.৭৬ শতাংশ। আর ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৪২.৭৬ পয়েন্ট বা ২.০৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এটি কমেছিল ৩২.৪৬ পয়েন্ট বা ১.৫৩ শতাংশ।

তবে সূচকের এ নিম্নমুখী প্রবণতার পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৫৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। লেনদেন কমেছে ১ হাজার ২৫৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা বা ৩১.০৭ শতাংশ।

এদিকে, প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৩১.০৭ শতাংশ বা ২৫১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৫৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৮১০ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৪১১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৯টি কোম্পানির, কমেছে ৩০১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের শীর্ষে ছিল ফু-ওয়াং সিরামিক। এছাড়া গোল্ডেন সন, তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইস-ক্রিম, ওরিয়ন ইনফিউশন, এস.এস. স্টিল, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, বেস্ট হোল্ডিংস, আফতাব অটোমোবাইলস ও ফরচুন সুজ ছিল শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায়।

অন্যদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই সূচক ২.৬২ শতাংশ ও সিএসসিএক্স সূচক ২.৬০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৭ হাজার ৯০.৩৭ পয়েন্ট ও ১০ হাজার ২৬১.৮৯ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই সূচক ২.১৮ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১.৭৪ শতাংশ ও সিএসই-৫০ সূচক ২.৬৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ১০৮.৫০ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৮১১.৯৩ পয়েন্টে ও ১ হাজার ২০৯.৯৮ পয়েন্টে।

তবে সপ্তাহ ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৮১ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ২৪৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি কোম্পানির শেয়ার দর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরমজানের প্রথম জুমায় মুসল্লিদের ঢল
পরবর্তী নিবন্ধবাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি