ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে বড় ব্যবধানে আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু।
এই নির্বাচনে নগরের ১২৮টি ভোট কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল ইকরামুল হক টিটি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৫৯ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হাতি প্রতীকে সাদেকুল হক খান মিল্কি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৯৫ ভোট।
অর্থাৎ মো. ইকরামুল হক টিটু তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ৫৬৪ ভোট বেশি পেয়েছেন।
শনিবার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় নগরের তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে ভোট গনণা শেষে বেসরকারিভাবে সংশ্লিষ্টরা এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ সময় নগরের ১২৮টি ভোট কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে মো. ইকরামুল হক টিটু ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৫৯। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হাতি প্রতীকে সাদেকুল হক খান মিল্কি টজু পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৯৫ ভোট। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোড়া প্রতীকে এহতেসামুল আলম পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৪৩ ভোট, কৃষকলীগ নেতা হরিণ প্রতীকে রেজাউল হক পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫৮ ভোট এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম স্বপন মন্ডল লাঙ্গল প্রথীকে পেয়েছেন ১ হাজার ২৭৬ ভোট।
এই ফলাফলে মো. ইকরামুল হক টিটু তাঁর নিকটতম প্রতিন্দন্দ্বীর চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ৫৬৪ ভোট বেশি পেয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, দিনভর শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এতে কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সূত্র জানায়, নগরের ৩৩ ওয়ার্ডের মোট ১২৮টি ভোটকেন্দ্রের ৯৯০ বুথে দেড় হাজার ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে চারজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পাঁচজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি সাত প্লাটুন বিজিবি, ১১ প্লাটুন পুলিশ, আর্মড পুলিশ এবং আনসার সদস্য, ১৭ টিম র্যাব ছাড়াও ৩৩ জন নির্বাহী হাকিম (ম্যাজিস্ট্রেট) এবং ১১ জন বিচারিক হাকিম (জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্রমতে, এই নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও নগরের ৩৩টি ওয়ার্ডে ১৪৯ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ১১টি আসনে মোট ৬৯ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে লড়াই করেছেন। তবে নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ফরহাদ আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় কাউন্সিলর পদে মোট ৩২টি ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩২ পুরুষ এবং ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৫৫ নারী ভোটার রয়েছে। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৯ জন।