নিউজ ডেস্ক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে ডিএসইতে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। একই সঙ্গে এদিন উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, ধারাবাহিকভাবে ৮ দিন ধরে পুঁজিবাজারে দরপতন চলছে। বাজারের এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা। মানববন্ধন করছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। ধারাবাহিক পতনের কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে পুঁজিবাজারের শীর্ষ ব্রোকারদের নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে জরুরি বৈঠক করেছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৮৪.১৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়া সূচক ১৭.৮৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২২.৫৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪১টি কোম্পানির, কমেছে ৩১৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৬টির।
ডিএসইতে এদিন মোট ৪৬৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৮৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স ১৬০.৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৫ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭৫.১৫ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৬৫৩ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ১৬.৩৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৩ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ৬৪.৬৪ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৬৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন, সিএসইতে ২১৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩৭টি কোম্পানির, কমেছে ১৬৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৫টির। দিন শেষে সিএসইতে ১৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।