আদায় করা অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ ফেরতের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক : ভোক্তা ও সিএমএসএমই খাত ঋণের প্রশাসনিক ব্যয় শিল্পসহ অন্যান্য ঋণের চেয়ে অতিরিক্ত এক শতাংশের বাইরে বাড়তি চার্জ আদায় করেছে ব্যাংকগুলো। এবার ছোট উদ্যোক্তা ও ভোক্তার কাছ থেকে অতিরিক্ত আদায় করা সুপারভিশন চার্জ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সোমবার (১৮ মার্চ) এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোকে আগ্রহী করতে সিএমএসএমই এবং ভোক্তা ঋণের আওতাধীন ব্যক্তিগত ও গাড়ি ক্রয় ঋণে সর্বোচ্চ এক শতাংশ সুপারভিশন চার্জ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এ চার্জ বছরে একবার আদায় বা আরোপ করা যাবে। পাশাপাশি বার্ষিক ভিত্তিতে আরোপিত এ সুপারভিশন চার্জের ওপর চক্রবৃদ্ধি হারে কোনো সুদ আরোপ করা যাবে না।

নির্দেশনায় বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি নানা কৌশলে গ্রাহক হতে নির্ধারিত চার্জের অধিক পরিমাণ সুপারভিশন চার্জ আদায় করছে। এ পরিস্থিতিতে কোনো ঋণগ্রহীতার কাছ হতে আদায় করা অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ ফেরত বা সমন্বয় করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

মেয়াদি ঋণের সুপারভিশন চার্জ আরোপের ক্ষেত্রে মূল ঋণের গড় স্থিতিকে ভিত্তি হিসেবে গণ্য করে সুপারভিশন চার্জ হিসাবায়ন করতে হবে। চলমান ঋণের ক্ষেত্রে মূল ঋণের দৈনিক গড় স্থিতিকে ভিত্তি হিসেবে গণ্য করে সুপারভিশন চার্জ হিসাবায়ন করতে হবে। সুপারভিশন চার্জের ওপর কোনো জরিমানা বা সুদ আরোপ করা যাবে না। গ্রহীতাদের জন্য সুপারভিশন চার্জ পরিশোধের পদ্ধতি সহজ করার লক্ষ্যে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঋণের পরিশোধসূচির সঙ্গে মিল রেখে মাসিক বা ত্রৈমাসিক বা ষান্মাসিক ভিত্তিতে চার্জ আদায়যোগ্য হবে।

চলমান ঋণে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সুদ আদায়ের সময় প্রাপ্য সুপারভিশন চার্জ আদায় করা যাবে। তলবি ঋণে মেয়াদান্তে পরিশোধের সময় এককালীন আদায় করা যাবে বা উভয়পক্ষের সম্মতিতে মেয়াদের মধ্যে একাধিক কিস্তিতে আদায়যোগ্য হবে। মাসিক বা ত্রৈমাসিক কংবা ষান্মাসিক ভিত্তিতে সুপারভিশন চার্জ আদায় করা হলে, বছরান্তে প্রাপ্ত গড় স্থিতির হিসাবায়নের ভিত্তিতে সুপারভিশন চার্জ সমন্বয় করতে হবে। শরীয়াহ ভিত্তিক পরিচালিত ব্যাংকগুলো তাদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখলিল-উজ্জ্বল-নয়নরা সিন্ডিকেটকারীদের লজ্জা দিয়েছেন: ভোক্তার ডিজি
পরবর্তী নিবন্ধশুরুতেই পতনে শেয়ারবাজার