নিউজ ডেস্ক : টানা সাত কার্যদিবস দরপতনের পর সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৫৩ পয়েন্ট। দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। আর লেনদেন হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে মূল্য সূচকও ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের সময় ৫ মিনিট না গড়াতেই দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে মূল্য সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
লেনদেনের প্রথম আধাঘণ্টাজুড়ে এই ধারা অব্যাহত থাকে। এতে লেনদেনের আধাঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৫৩ পয়েন্ট কমে যায়। তবে এরপর কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়তে দেখা যাচ্ছে। ফলে সূচকের ঋণাত্মক প্রবণতা কিছুটা কমেছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৮ মিনিটে ডিএসইতে ৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯১টির। আর ৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৩৮ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১০ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৬ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৫৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ৩৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির।