নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা দরপতনের মধ্যে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। দরপতনের কবলে পড়ে প্রতিদিনই পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। দুই মাসের বেশি সময় ধরে এই দরপতন চলছে। এরই মধ্যে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে পুঁজিবাজারের এক লাখ কোটি টাকার ওপরে বাজার মূলধন উধাও হয়ে গেছে।
চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারির পর থেকে শুরু হওয়া পতনের ধারা অব্যাহত ছিল গত সপ্তাহজুড়েও। গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হয়ছে। এতে এক সপ্তাহেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ১৩ হাজার কোটি টাকার ওপরে নাই হয়ে গেছে।
বড় অঙ্কের টাকা হাওয়া হয়ে যাওয়ার পাশপাশি মূল্য সূচক ও লেনদেনেও বড় ধাক্কা লেগেছে। ১৭ জানুয়ারি ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ছিল ৬ হাজার ৩৪৬ পয়েন্ট। এখন সেই সূচক কমে ৫ হাজার ৭৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ৫৬৮ পয়েন্ট।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব সূচকের পতন হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহজুড়ে সূচকের সঙ্গে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।
গত সপ্তাহের শুরুতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ২২৯ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ৩১১ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৯২ শতাংশ।
আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে ১ হাজার ৯৭৫কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৮৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এক সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
সপ্তাহ শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১৬৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৭৮ পয়েন্টে। সপ্তাহের শুরুতে সূচকটি ছিল ৫ হাজার ৯৪১ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে ‘ডিএসইএস’ সূচক ৩৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট কমেছে। আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক কমেছে ৪৬ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট।
আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৫টির। আর ৩৪৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এ সময়ে ১৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।