নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ৯ম বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সভা ২৪ ও ২৫ এপ্রিল ভুটানের থিম্পুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ভুটান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভুটানের শিল্প বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান সচিব তাশি ওয়াংমো।
উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণলায়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিনিধি দলে দু’দেশের রাষ্ট্রদূতরা অংশগ্রহণ করেন।
গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভার সূচনা বক্তব্যে উভয় দেশের বাণিজ্য সচিব দু’দেশের মধ্য বিরাজমান চমৎকার সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে উভয়পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। বিশেষ করে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা প্রশমন এবং রপ্তানি সুবিধা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ, ট্রানজিট এবং যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন, কাস্টমস ও ল্যান্ড পোর্টের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো দূরীকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ভুটানকে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজতর করার লক্ষ্যে বিবিআইএন এমভিএ কাঠামোতে পুনরায় যোগদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। জবাবে ভুটান বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনার আশ্বাস প্রদান করে।
বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের ৯ম সভায় বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার জন্য বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় আলোচনা করা হয়। উভয় বাণিজ্য সচিব অগ্রাধিকার মূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সম্পাদনের ফলে দু’দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং উভয়পক্ষই বিদ্যমান বাংলাদেশ ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির আওতায় অতিরিক্ত পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে সম্মত হন।
সভায় বাংলাদেশ ও ভুটান ট্রাফিক ইন ট্রানজিট চুক্তি এবং এর প্রটোকল বাস্তবায়নের জন্য পরীক্ষামূলক রপ্তানি ও আমদানি (ট্রায়াল রান) পরিচালনার জন্য সম্মত হয়। বাংলাদেশ ও ভুটানের কাস্টমস সম্পর্কিত তথ্য ও প্রতিবেদন আদান প্রদান এবং উভয় দেশের শুল্ক কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহযোগিতা বৃদ্ধি জন্য উভয়পক্ষই স্বল্প সময়ের মধ্যে কাস্টমস মিউচুয়াল অ্যাসিসটেন্স অ্যাগ্রিমেন্ট (সিএমএএ) স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছেন।
উভয় সচিব গত মাসে ভুটানের রাজার বাংলাদেশ সফরের সময় গৃহীত সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করেন এবং সফরে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক/চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।