নিউজ ডেস্ক : এআরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি হয়েছে দেশে। গত মার্চ মাস থেকে আবহাওয়ার এমন বৈরী আচরণে বিপাকে সব শ্রেণিপেশার মানুষ। বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। বিশেষ করে প্রচণ্ড গরমে বাজারে সবজি সরবরাহ কম। ফলে দাম আরও বেড়েছে।
মাছ, মাংস, শাক সবজি, লেবু কাঁচা মরিচ থেকে শুরু করে সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। রোজার আগে যে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতো ১৬০-১৮০ টাকায়। তা এখন ২০০-২২০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় এই চিত্র।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন,, গরম বাড়ার সবজির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন বেশি লাভের আশায় সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা দরে। দোকানীরা বলছে গরমের কারণে বাজারে চাহিদার শীর্ষ স্থান দখল করে আছে লেবু। সেই সাথে কয়েক ধরনের কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৯০ টাকা প্রতি কেজি।
কমেনি আলুর দামও প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকা, দেশি রসুন ১৬০-১৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০-৬৫। আর চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে।
তবে মাছ-মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে কিছুটা কমেছে মাছের দাম এছাড়াও ক্রেতা সংকটে কমেছে গরুর মাংস ও খাসির মাংসের দাম। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১০০০ টাকা আর ছাগলের মাংস ৯০০ টাকা কেজি।
এদিকে ইলিশের দামে কিছুটা কমার দাবি ব্যবসায়ীদের। প্রতি পিছ ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায় আর বড় সাইজের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৪০০ টাকা কেজি, শিং ৪৫০, গুলশা ৭৫০, পাবদা ৪০০, ট্যাংরা মাছ ৭০০ টাকা, পুটি ২২০, রুই মাছ ৩৪০ থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০, টাটকিনি ২২০, পাঙাশ ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কোন সবজির কেজি ৬০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে। পটল ১৪০ টাকা পটল, কাকরল ১০০, ক্যাপসিকাম ৫০০, করলা ৮০, উস্তা ৬০, টমেটো ৬০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা প্রতি পিস, পেঁপে ৬০, কাচা কলা ৩০-৪০, ভেন্ডি ৮০, ধনেপাতা ১০০ গ্রাম ৩০, শসা ৮০ টাকা, গোল বেগুন ১২০, লম্বা বেগুন ৮০, গাজর ৮০, চিঁচিঙ্গা ৮০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবুল হাসান অভিযোগ করেন বলেন, এই গরমে বাজারে যেনো আগুন লেগেছে। কোন সবজি ৫০/৬০ টাকার নিচে নাই। এছাড়া মাছের দামও চড়া মনে হচ্ছে। ছোট ছোট লেবু ৩০/৪০ টাকা করে হালি চাচ্ছে। এক দুই হাজার টাকা নিয়ে এসেও ব্যাগ ভরে বাজার করার দিন শেষে হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন বাজারে আসলে পকেট ভরে টাকা নিয়ে আসতে হয়। কিন্তু আমাদের বেতনের আকারের সাথে বাজারের সাথে সমন্বয় করতে পারি না। এমন অবস্থা থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে না পারলে দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাবে।
এদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ গরমের কারণে অনেক সবজি ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে। তাই সরবরাহ কম। আর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় কিছুটা বাড়তি সবজির দাম।