স্পোর্টস ডেস্ক : শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৭ রান দরকার ছিল লখনৌয়ের। কঠিন এই লক্ষ্যটা সহজেই তাড়া করে দলকে জয় এনে দিলেন মার্কাস স্টয়নিস। আর এটা সম্ভব হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের এলোপাথাড়ি বোলিংয়ে। শেষ ওভারে ১৭ রান আটকাতে এসে ৩ বলে ১৯ রান দিয়েছেন টাইগার এই পেসার। আর তাতে চিপাক স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে জিতল লখনৌ।
চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে লখনৌ সুপারজায়ান্টস। চেন্নাইয়ের দেয়া ২১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লোকেশ রাহুলের দল।
ব্যাট হাতে লখনৌয়ের ম্যাচ জয়ের নায়ক স্টয়নিস। ১৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৬৩ বলে ১২৪ রান করে দলকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটার। মুস্তাফিজের শেষ ওভারে একাই ৩ চার ও একটি ছক্কা মারেন এই বিধ্বংসী ব্যাটার।
এই হারে পয়েন্ট টেবিলে এক ধাপ নিচে নেমে গিয়েছে চেন্নাই। ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে আছে দলটি। অন্যদিকে তাদের হারিয়ে চারে উঠে এসেছে লখনৌ। চেন্নাইয়ের সমান ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট রাহুলের দলের। ৮ ম্যাচের ৭টিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে রাজস্থান রয়্যালস। ]
বড় লক্ষ্যতাড়ায় ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় লখনৌ। কুইন্টন ডি কককে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান দীপক চাহার। পঞ্চম ওভারে প্রথম বল করতে আসেন মুস্তাফিজ। সেই ওভারে প্রথম বলে চার খেলেও চতুর্থ বলেই লখনৌ অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে আউট করেন ফিজ। প্রথম বলে চার খাওয়ার পর পরপর দুটি ডট বল দেন ফিজ। চতুর্থ বলে তেড়েফুড়ে মারতে গিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু ধরা পড়েন এক্সট্রা কাভারে দাঁড়িয়ে থাকা রুতুরাজের হাতে। ৩৩ রান তুলতেই দুই উইকেট হারায় লখনৌ।
তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন স্টয়নিস। দেবদূত পাড়িকেলের স্লো ব্যাটিংয়ে অনেকটা পিছিয়ে গেলেও দলকে কখনো লড়াই থেকে ছিটকে যেতে দেননি অজি এই ব্যাটার। ১৯ বলে ১৩ রান করা পাড়িকেলকে ফেরান মাথিশা পাথিরানা।
তবে তাতে লাভই হয়েছে লখনৌয়ের। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৫ বলে ৩৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন নিকোলাস পুরান। পাথিরানার শিকার হয়ে ১৭তম ওভারে ফেরেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান এই ব্যাটার।
শেষ ৩ ওভারে ৪৭ রান দরকার ছিল লখনৌয়ের। তখন ১৮তম ওভারে এসে ১৫ রান দেন মুস্তাফিজ। দীপক হুডা এবং স্টয়নিস মিলে পাথিরানার পরের ওভারে নেন ১৫ রান। শেষ ওভারে লখনৌয়ের জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় ৬ বলে ১৭ রান। কঠিন সমীকরণটা সহজ করে দেন মুস্তাফিজ। প্রথম বলে ছক্কা এবং পরের দুই বলে খান দুটি চার। তিন নম্বর বলটি আবার হয়েছে নো বল। ফ্রি হিটে আবার ৪ মেরে লখনৌকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন স্টয়নিস।