নিউজ ডেস্ক : ঈদযাত্রার প্রথম দিনে ট্রেনে শিডিউল বিপর্যয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেছেন, এখন পর্যন্ত সবগুলো ট্রেনই যথাসময়ে স্টেশন ছেড়েছে। শুধু একটি ট্রেন ছাড়তে ১ ঘণ্টা দেরি হয়েছে। এর কারণ, উত্তরবঙ্গের বা পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলো সেখান থেকে আসার পর সেগুলো পুনরায় প্রস্তুত করে ফিরতি ট্রিপে চালাতে হয়। ট্রেনগুলো যদি দেরিতে কমলাপুর আসে তাহলে আমাদেরও ছাড়তে দেরি হয়।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রেলে ঈদযাত্রার পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ সারওয়ার বলেন, অন্যান্য সময়ের চেয়ে এখন স্টেশনে মানুষের ভিড় বেশি। সেজন্য প্রতিটি স্টেশনেই যাত্রী ওঠা-নামার জন্য দুই মিনিট করে সময় বাড়ানো হয়। সেজন্য কিছুটা সময় দেরি হয়েছে। আর মূল কথা হচ্ছে, যাত্রীরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে এবং নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। আশা করছি, গতবারের মতো এবারও সবাই স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারবে।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে প্রথম ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯), দ্বিতীয় ট্রেন কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬), তৃতীয় ট্রেন সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯), নীলসাগর (৭৬৫), সোনার বাংলা (৭৮৮), এগারো সিন্দুর (৭৩৭), তিস্তা (৭০৭), মহানগর প্রভাতি (৭০৪), সুন্দরবন (৭২৬), মহুয়া (৪৩), কর্ণফুলি (০৪), রংপুর এক্সপ্রেস (৭৭১), তিস্তা (৩৪), জামালপুর এক্সপ্রেস (৭৯৯) পর্যায়ক্রমে ছেড়ে গেছে।
এদিন সকাল ৬টায় রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে প্রথম ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯) ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ট্রেনটি স্টেশন ছাড়তে পারেনি। অন্যদিকে দ্বিতীয় ট্রেন কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬) ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে। কিন্তু ট্রেনটি ৫ মিনিট দেরিতে প্লাটফর্ম ছেড়ে যায়। আর তৃতীয় ট্রেন সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯) ৪ মিনিট দেরিতে সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে প্লাটফর্ম ত্যাগ করে।
নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার জন্য এদিন ভোর থেকেই যাত্রীরা কমলাপুর রেলস্টেশনে ভিড় করতে থাকেন। গত ২৪ মার্চ যারা ৩ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট কেটেছেন তারাই স্টেশনে ভিড় করছেন। প্ল্যাটফর্মে যেন কোনো টিকিটবিহীন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্লাটফর্মের প্রবেশ মুখে ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারা (টিটিই) অবস্থান করছেন। তারা যাত্রীদের টিকিটের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) মিলিয়ে দেখছেন। যাদের টিকিট নেই, তারা কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট সংগ্রহ করছেন।