চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :
চুয়াডাঙ্গায় টানা এক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার বেলা ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
তীব্র দাবদাহের কারণে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শহরে জেলা প্রশাসন ও তথ্য অফিসের সহযোগিতায় মাইকিং করে জনসাধারণের সতর্ক করা হচ্ছে।
এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় সাধারণ মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক-শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষ। ধান, আম, লিচু ও সবজির ফলন এবং হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল নিয়ে কৃষকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
ভ্যাপসা গরমের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন জেলার বাসিন্দারা। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ ছাড়া অ্যাজমা, হাঁপানিসহ শ্বাসকষ্টের রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
সদর হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের পরামর্শক মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালের আন্তবিভাগ ও বহির্বিভাগ ছাড়াও চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে গরমজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের চাপ বাড়ছে। রোগীদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে, দাবদাহ চলাকালে ভাজা-পোড়া, চা-কফি ও কোমল পানীয় এড়িয়ে বেশি বেশি পানি, খাওয়ার স্যালাইনসহ তরল খাবার খেতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে চলমান দাবদাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি উঠেছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গার প্রচণ্ড দাবদাহের বিষয়টি অধিদফতরের মহাপরিচালককে জানানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও নির্দেশনা আসেনি।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, শুক্রবার চলতি মৌসুমে সারা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমা জানান, তাপপ্রবাহে জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এ সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে করণীয় বিষয়ে স্বাস্থ্যবার্তা ছাপিয়ে বিলি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।