নিউজ ডেস্ক : সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে বলেই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে। এটা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে, আব্দুল হাই-এর মতো ত্যাগি নেতা-কর্মীদের কারণে। তাদের অবদানের ফলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা আনা সম্ভব হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে ঝিনাইদাহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে উপস্থাপিত শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঝিনাইদহ এমন একটা সন্ত্রাসী এলাকা ছিলো যেখানে গ্রামের মানুষ টিকতে পারতো না। সেখানে নির্বাচন করা, রাজনীতি করা অত্যন্ত কঠিন ছিলো। সেই অবস্থার মধ্যেও আব্দুল হাই অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সংগঠন ধরে রাখেন এবং সংগঠনকে সুংগঠিত করেন।
তিনি আরো বলেন, আব্দুল হাই অত্যন্ত সাহসী ছিলেন, ভালো সংগঠক ছিলেন। তাই সফলতার সঙ্গে তিনি সংগঠনকে দাঁড় করাতে পেরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময়ে ওই এলাকায় গ্রামে মানুষ টিকতে পারতো না, অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিলো। বিএনপি নামক যে দলটি সৃষ্টি হয়েছিলো ,আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টির বেশীর ভাগ লোক কিন্তু এই বিএনপিই করতো। সেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা হতো, কত লাশ যে পড়েছে, তার হিসেব নেই। সেই অবস্থায় সংগঠনকে গড়ে তোলা এবং বার বার নির্বাচিত হয়ে এসে একটা বিরাট দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এটাই সব চেয়ে কষ্ট লাগছে, তিনি এই সংসদে বসতে পারলেন না। এবারও তাকে এক সময় গ্রেফতারের করার চেষ্টা চালানো হয়েছিলো। আবার একজন রিট করলো, তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। সেটা আবার আপিল করে ফিরে পেয়েছিল। তারপর নির্বাচনে জয়ী হলেন। পরে অসুস্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিলেন। নতুন প্রজন্মকে আব্দুল হাইয়ের মতো ত্যাগী নেতাদের অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি।
সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভুইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর একুশের পদক প্রাপ্ত গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদক প্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে সংসদ অধিবেশনে শোক প্রকাশ করা হয়।