টানা ৭ কার্যদিবস পতনে শেয়ারবাজার

নিউজ ডেস্ক : দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন থামছে না। গত কয়েক কার্যদিবসের মতো সোমবারও (২০ মে) শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। এর মাধ্যমে টানা সাত কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৩০ পয়েন্ট কমে যায়। প্রথম আধা ঘণ্টার লেনদেনে ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ৭৫ পয়েন্ট কমে যায়।

তবে এরপর বেশি কিছু প্রতিষ্ঠান দরপতন থেকে বেরিয়ে আসে। ফলে বড় পতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে সূচক। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৭৮টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৯৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৬১ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪০৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১৫২ কোটি ৩ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ৪১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের ২৫ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২২ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-ই-জেনারেশন, ওরিয়ন ইনফিউশন, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, বিচ হ্যাচারি, সোনালী আঁশ এবং আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৩২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৬টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক
পরবর্তী নিবন্ধবাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ