নিউজ ডেস্ক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে অষ্টম কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের পতন ঘটেছে। চলতি সপ্তাহে চার কার্যদিবসেই সূচকের পতন ঘটেছে। ফলে, দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক তিন বছরের আগের অবস্থানে নেমে এসেছে।
এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। এর পাশাপাশি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫৮.৭০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর আগে ২০২১ সালের ১৯ এপ্রিলে মাসে ডিএসইএক্স সূচক ৫ হাজার ৩৪৯ পয়েন্টের ঘরে অবস্থান করছিল। ডিএসই শরিয়া সূচক ১৫.০১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৯ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২২.২৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৮৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪২টি কোম্পানির, কমেছে ৩১৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮টির।
ডিএসইতে এদিন মোট ৫০৮ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৯১ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৯৬.৬১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫৪.৯৪ কমে ১৫ হাজার ৪০৩ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ৮.৭৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ১২৭.৬৩ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৮০১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন সিএসইতে ২২১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২১টি কোম্পানির, কমেছে ১৭৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩টির।
দিন শেষে সিএসইতে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।