৫ দিনে উত্তরা ব্যাংকের দাম কমলো ৩০৮ কোটি টাকা

নিউজ ডেস্ক : গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়লেও কিছু প্রতিষ্ঠান বিপরীতে পথে হেঁটেছে। দাম বাড়ার বদলে সপ্তাহজুড়েই এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। দাম কমার এ তালিকায় নেতৃত্ব দিয়েছে উত্তরা ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে দাম কমায় পাঁচদিনেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে ৩০৮ কোটি টাকার ওপরে কমে গেছে।

বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে খুব একটা আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে ব্যাংক খাতের এ প্রতিষ্ঠানটি।

গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৪ টাকা ২০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ৩০৮ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৮০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ২৬ টাকা।

শেয়ার দামে এমন পতন হওয়া কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ লভ্যাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট পার হয়েছে ৭ মে। এই রেকর্ড ডেট পার হওয়ার পর দুই দিনে কোম্পানিটির শেয়ার দাম ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ বা ৪ টাকা ২০ পয়সা কমেছে।

এর আগে ২০২২ সালে ১৪ শতাংশ নগদ ও ১৪ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল। এছাড়া ২০২১ সালে ১১৪ শতাংশ নগদ ও ১৪ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০২০ সালে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০১৯ সালে ৭ শতাংশ নগদ ও ২৩ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

১৯৮৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৭৩৪ কোটি ১ লাখ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা ৭৩ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার ৫৪৮টি। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার আছে।

উত্তরা ব্যাংকের পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১০ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে হামিম ইন্ডাস্ট্রিজ।

এছাড়া গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- এইচ আর টেক্সটাইলের ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ, আফতাব অটোমোবাইলের ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ, বাংলাদেশ ল্যাম্পের ৯ দশমিক ১০ শতাংশ, ইস্টার্ন কেবলসের ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ, বিচ হ্যাচারির ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, আইটি কনসালটেন্ট ৬ দশমিক ৪৬ শতংশ এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ দাম কমেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন : অর্থমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধরাজশাহীর আম ঢাকায় আসবে ১ টাকা ৪৩ পয়সায়