নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। ঈদকে সামনে রেখে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং হঠাৎ ডলারের দাম বাড়ার ফলে রিজার্ভ বেড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বাংলাদেশে ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ২১ মে পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী, গ্রস রিজার্ভ ১৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন। গত সপ্তাহে অর্থাৎ ১৫ মে গ্রস রিজার্ভ নেমেছিল ২৩ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে এবং বিপিএম-৬ ছিল ১৮ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফ-কে দেওয়া হয়, জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয় না। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ হিসাব করা হয়। সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা নেই। সাধারণত, একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন মন্দ সূচকে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।
রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায়, তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচসহ বিভিন্ন খাতের ব্যয় বিদেশি মুদ্রায় মেটানো হয়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার মজুদ থাকে, সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।