নিউজ ডেস্ক : শিক্ষার পেছনে ব্যয়কে বিনিয়োগ হিসেবে দেখে সরকার বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের একটাই ইচ্ছা ছিল, দেশের মানুষের মাঝে শিক্ষা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। যেন তারা শিক্ষায় মনযোগ দেয়। দিনে দিনে আমাদের দেশে স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও বলতে চাই, যারা এখনও শিক্ষার বাইরে রয়েছে তাদেরকে শিক্ষার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
রোববার (১২ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এর পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে হবে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে শিক্ষিত হতে যা যা দরকার এবং বিশ্বপরিমণ্ডলে ঠিকে থাকতে হলে যা দরকার; সেটা আমরা প্রবর্তন করতে চাই। শিক্ষাক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনও সময় গেছে মাসের পর মাস ফলাফল পড়ে থেকেছে। শিক্ষার্থীরা সেটা পায়নি। কিন্তু এখন একটা নিয়মের মধ্যে আনা হয়েছে।
শিক্ষার পেছনে ব্যয়কে বিনিয়োগ হিসেবে দেখে সরকার বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের একটাই ইচ্ছা ছিল, দেশের মানুষের মাঝে শিক্ষা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। যেন তারা শিক্ষায় মনযোগ দেয়। দিনে দিনে আমাদের দেশে স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও বলতে চাই, যারা এখনও শিক্ষার বাইরে রয়েছে তাদেরকে শিক্ষার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া কোনো উন্নতি সম্ভব নয়, সেজন্য শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে সরকার। শিক্ষার পেছনে ব্যয়কে বিনিয়োগ হিসেবে দেখে।
এরপর মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।