নিউজ ডেস্ক : স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য ব্যয় হবে ১৮২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর প্রতি লিটার সয়াবিত তেলের দাম পড়বে ১৫২ টাকা ৪৫ পয়সা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড থেকে এই সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। মঙ্গলবার (২১ মে) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, সরকার ১ কোটি পরিবারকে যে সাপোর্ট দিচ্ছে তার আওতায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদ দেওয়া হয়া হয়েছে৷
এই সয়াবিত তেল কিনতে মোট খরচ হবে ১৮২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৫২ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের মূল্য ছিল ১৫২ টাকা ৯৮ পয়সা। অর্থাৎ আগের থেকে লিটারের ৫৩ পয়স কমে এবার সয়াবিন তেল কেনা হবে।
এর আগে, ১৫ মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ১০১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয় ১০১ টাকা ৯৪ পয়সা। এর মধ্যে ইজি জেনারেল ট্রেডিং থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন এবং নাবিল নাবা ফুড প্রডাক্ট থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
তার আগে ৮ মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ২২ হাজার টন মসুর ডাল, এক কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। মসুর ডাল ও রাইস ব্রাণ তেল উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধিতিতে এবং সয়াবিন তেল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার সিদ্ধান্ত হয়।
ওই বৈঠকে শেষে সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে নাবিল নাবা ফুডস প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ৬১ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ টাকা ২৪ পয়সা। যা আগে ছিল ১০৩ টাকা ৭৫ পয়সা। মসুর ডাল কেনার এই প্রস্তাব নিয়ে আসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মুসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ টাকা ৭৫ পয়সা।
আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর মেসার্স সালমান খুরশীদের কাছ থেকে ৩ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল এবং খুলনার শেখ অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এর কাছ থেকে ৩ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। প্রতি কেজির ডালের দাম পড়বে ১০১ টাকা ৪০ পয়সা।
সচিব জানান, টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১৮২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৫২ টাকা।
এ ছাড়া টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং মজুমদার ব্রাণ অয়েল মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রতি লিটার রাইস ব্রাণ তেলের দাম পড়বে ১৪৮ টাকা ৭৫ পয়সা। যা আগে ছিল ১৫২ টাকা।