নিউজ ডেস্ক : আগামীতে চট্টগ্রাম বন্দর আঞ্চলিক লাইফ লাইনে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কেক কাটা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কাটেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি, এম এ লতিফ এমপি, এস এম আল মামুন এমপি, চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের এরিয়া কমান্ডার রিয়াল এডমিরাল খন্দকার মিজবাহ উল আজিম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, গ্লোবাল টিভির হেড অব নিউজ ইশতিয়াক রেজা, এক টাকার খবরের মুন্নী সাহা, আমাদের অর্থনীতির প্রকাশক নঈমুল ইসলাম খান, এটিএন নিউজের হেড অব নিউজ প্রবাস আমিন, নিউজ২৪ এর নির্বাহী সম্পাদক রাহুল রাহা, একাত্তর টিভির চিফ এডিটর মোজাম্মেল হক, আরটিভির সিইও সৈয়দ আশিক রহমান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে। যার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বিনিয়োগকারীরা চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগ করার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে এবং প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে। এরইমধ্যে বিদেশা অপারেটরও নিয়োগ করা হয়েছে। আগামী চট্টগ্রাম বন্দর আঞ্চলিক লাইফ লাইনে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, করোনাসহ বৈশ্বিক নানা বিশ্বের অনান্য বন্দরের কার্যক্রম স্থগিত ছিল, সেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের চিত্র ভিন্ন। করোনা মহামারীর মতো বৈশ্বিক দুর্যোগেও একদিনের জন্যও বন্ধ ছিল চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম। যার কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে আমাদের এই বন্দর।
তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ২০২৪ সালের মধ্যে বে-টার্মিনালের কাজ শেষ করার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বে-টার্মিনালের কাজ শুরু করবো এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করবো। এরইমধ্যে বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ২৪ ঘণ্টা সচল রাখতে নিরলস পরিশ্রম করছে সবাই। যার কারণে এখন আগের মতো বন্দরে কনটেইনার জট নেই। এটা সবার ঐকান্তিক কাজ এবং চেষ্টার ফল।