রপ্তানি নীতিমালার খসড়া নীতিগত অনুমোদন

নিউজ ডেস্ক : রপ্তানি নীতিমালা ২০২৪-২০২৫ এবং টিসিবি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে নিত্যপণ্য আমদানি বা স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে সময়সীমা ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর পৃথক দুটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (১৫ মে) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির অষ্টম সভায় প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান। তিনি বলেন, টিসিবি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী আমদানি বা স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে সময়সীমা ২০২৪ সালের ২৬ মে থেকে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

তিনি বলেন, আকস্মিক বিপর্যয়কর ঘটনা মোকাবিলার জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সিসিইএ সভার অনুমোদনক্রমে টিসিবি পেঁয়াজ, রসুন, মশুর ডাল, ছোলা, মসলা, শুকনা মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, ধনে, জিরা, আদা, হলুদ, তেজপাতা, সরাবিন তেল, পাম অয়েল, চিনি, লবণ, আলু, খেজুর ও রাইস ব্র্যান অয়েলসহ অন্যান্য ভোজ্য তেল ইত্যাদি আমদানি বা স্থানীয়ভাবে ক্রয় করে থাকে। সিসিইএ সভার অনুমোদনের মেয়াদ ২০২৪ সালের ২৬ মে থেকে তারিখ শেষ হবে। নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিএ ২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) আওতায় একই আইনের ৩২ ধারায় ‘যে কোনো ক্রয় পদ্ধতি’ অনুসরণে বর্ণিত পণ্য ক্রয়ের সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সচিব বলেন, রপ্তানি নীতি ২০২৪-২০২৫ এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, রপ্তানি খাতের চাহিদা এবং বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রতি তিন বছর অন্তর রপ্তানি নীতি প্রণয়ন করা হয়। বিদ্যমান রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। এ ধারাবাহিকতায় রপ্তানি নীতিমালা ২০২৪-২০২৫ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না দেওয়ার নির্দেশ মন্ত্রীর
পরবর্তী নিবন্ধসূচকের পতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেন