নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) একশ কোটি টাকা ব্যয়ে কিছু দিনের মধ্যেই অত্যাধুনিক ন্যানোল্যাব স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল ৯টায় বুয়েটের ইসিই ভবনে রোবোটিক্স ও অটোমেশন ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, আমরা এখন আইওটি দেখছি চোখের সামনে, সব বড় বড় ডিভাইস। কিন্তু সবকিছু ন্যানোলেভেলে চলে যাচ্ছে। ব্রেনে চিপ বসানোসহ অনেক কিছুই হয়তো হচ্ছে ল্যাবে, এখনো পাবলিকলি আসে নাই। সেগুলো এমআইটিতে দেখে এসেছি। সে কারণেই আমি উৎসাহিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আইসিটি উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাবটি দেই। এরই মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় চলে গিয়েছি। একশ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি অত্যাধুনিক ন্যানোল্যাব অল্পদিনের মধ্যেই বুয়েটে স্থাপন করতে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আজ আনুষ্ঠানিকভাবে রোবোটিক্স ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করলাম। কিন্তু এখানেই কাজ শেষ হবে না। এরপরের ধাপগুলো আমরা আরও আগাবো। বুয়েটকে আরও যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছি, যেটা এমআইটিতে দেখে এসেছিলাম। এমআইটির মতো এত বড় হয়তো পারবো না, তারা তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ন্যানোল্যাব তৈরি করেছে। ওই ল্যাবে ঢোকার পর মনে হয়েছে যেন কোনো সায়েন্স ফিকশন মুভির মধ্যে ঢুকে পড়েছি। ওখানে এআর, ভিআর, এমআর, মিক্স রিয়েলিটি সব আছে।
তিনি আরও বলেন, আসলে ন্যানোচিপ তো সব জায়গায় লাগবে। আমাদের কি কাজে লাগবে? এমআইটির তারা বললো যে, আগামী দিনে যে ফেব্রিক্সের মধ্যেও ন্যানোচিপ থাকবে। এখন স্মার্টওয়াচ যেমন আমাকে বলছে তুমি একঘণ্টা বসে আছো, এটা তোমার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ, তুমি হাঁটাহাঁটি করো, কিংবা দেখাচ্ছে এভাবে এক্সারসাইজ করো। এখন চিপ ফেব্রিক্সের মধ্যে থাকবে, চেয়ারের হাতলের মধ্যে থাকবে। ফলে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা, হৃদকম্পন যেকোনো কিছু সে পড়তে পারবে এবং এই সিগন্যালটা আবার পাঠাতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীর স্মার্ট পৃথিবীর, স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব তারাই দেবে, যারা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স, মাইক্রোচিপ এবং সাইবার সিকিউরিটিতে দক্ষ এবং যোগ্য হবে। এখন হয়তো আপনারা জিজ্ঞেস করবেন তাহলে রাজনৈতিক নেতাদের কী হবে? রাজনৈতিক নেতাদেরও যদি টেকনোলজিতে জ্ঞান না থাকে, দক্ষতা না থাকে, সক্ষমতা না থাকে তাহলে তারাও ইরিলেভেন্ট হয়ে যাবে। আইনজীবীরা হারিয়ে যাবে, ডাক্তাররা হারিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের আইসিটি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন এবং বুয়েটের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান।