পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ, সুপারিশবঞ্চিত মৌলভী-আইসিটি শিক্ষকরা

নিউজ ডেস্ক : পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ফল প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

এনটিআরসিএ’র পরিচালক কাজী কামরুল আহছানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ফল প্রকাশের তথ্য ও নির্বাচিতদের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের মেধা, পছন্দক্রম ও প্রতিষ্ঠানের চাহিদার ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিও শূন্যপদে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। তবে উচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকায় সহকারী মৌলভী ও সহকারী শিক্ষক (তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি) পদে কাউকে সুপারিশ করা হয়নি।

পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক নির্বাচনের ফলাফল এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটের পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-২০২৪ নামক সেবাবক্সে এবং http://ngi.teletalk.com.bd লিংকে পাওয়া যাবে।

নির্বাচিত প্রার্থীরা অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ফলাফল দেখতে পারবেন। একইভাবে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের স্ব স্ব ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নিজ প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত প্রার্থীদের তথ্য দেখতে পারবেন।

কোনো নির্বাচিত প্রার্থী কিংবা প্রতিষ্ঠান প্রধান টেকনিক্যাল কারণে এসএমএস না পেলে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটের পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সেবাবক্স থেকে প্রাথমিক নির্বাচনের ফলাফল দেখতে পারবেন।

নির্বাচিতদের জন্য নির্দেশনা
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে নিবন্ধন পরীক্ষার সনদ, সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও মার্কশিটের সত্যায়িত অনুলিপি আগামী ৭ থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে অফিস চলাকালীন (সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা) এনটিআরসিএ কার্যালয়ে সরাসরি জমা দিতে হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না।

প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত সব প্রার্থীকে অনলাইনে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম (ভি-রোল) পূরণ করতে হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পরবর্তীতে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি ও প্রার্থীর মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে।

বিজ্ঞাপন

গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এরমধ্যে স্কুল ও কলেজে পদ সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৮৬। আর মাদরাসা ও কারিগরিতে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৭ এপ্রিল থেকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হয়, শেষ হয় ২৩ মে।

তবে এবার গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগ পেতে আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ২৩ হাজার ৯৩২ জন প্রার্থী। যাচাই-বাছাইয়ে তাদের মধ্যেও অনেকে বাদ পড়তে পারেন। সেই হিসাবে আবেদন দাঁড়াতে পারে সাড়ে ২২ হাজার থেকে ২৩ হাজারের মধ্যে। অর্থাৎ, শূন্য থাকলেও প্রার্থী না থাকায় ৭৩ হাজারের বেশি পদ ফাঁকাই থাকবে।

জানা গেছে, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র ১৬ ও ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পেরেছেন। তবে ১৬তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ অধিকাংশ প্রার্থী চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন।

বিজ্ঞাপন

Jagonews24 Google News Channelজাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
ফলে এবার আবেদন আরও কমেছে। এছাড়া ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হলেও বয়স শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই আবেদন করতে পারেননি। বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ায় পদ ফাঁকা থাকলেও সেই অনুযায়ী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করলেন শেখ হাসিনা
পরবর্তী নিবন্ধআজ থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল