রেইসের বিও হিসাবের লেনদেন স্থগিতের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক :
পুঁজিবাজারে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে সদস্যভুক্ত সম্পদ ব্যবস্থাপনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেইস ম্যানেজমেন্ট পিসিএলের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত সকল ফান্ডের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবের লেনদেন স্থগিত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সোমবার (২৪ জুন) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এক আদেশে এসব নির্দেশনা দেন।

এর আগে রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট এবং তার অধীনে পরিচালিত ফান্ডগুলোর ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

রেইস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবস্থাপনার বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টডিয়ান শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে এমন ব্যবস্থা নিয়েছে বিএসইসি।

এর ফলে রেইস ম্যানেজমেন্টের তত্ত্বাবধানে থাকা মিউচুয়াল ফান্ডের হেফাজতকারীর অনুমোদন ছাড়া যেসব বিও হিসাব খুলেছে, সেগুলোতে আর কোনো লেনদেন করতে পারবে না।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, হেফাজতকারীর অনুমোদনের বাইরে রেইস ম্যানেজমেন্ট বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসে বিও হিসাব খুলে তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ডের বিপরীতে ধারণ করা শেয়ার লেনদেন করছে। রেইসের কার্যক্রম তদারকির জন্য বিএসইসি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক তদন্তে এ তথ্য মিলেছে। এ কারণে মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটধারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় অননুমোদিত এসব বিও হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে রেইসের তত্ত্বাবধানে থাকা বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ডের হেফাজতকারী ও ট্রাস্টিকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রেইসের বিভিন্ন তহবিলের বিপরীতে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে অনুমোদিত যেসব বিও হিসাব রয়েছে, সেগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তহবিলের ট্রাস্টিদের নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। পাশাপাশি এসব বিও হিসাবের বিস্তারিত প্রতিবেদন সাত দিনের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া রেইসের তত্ত্বাবধানে থাকা মিউচুয়াল ফান্ডের হেফাজতকারী বা কাস্টডিয়ানকে অননুমোদিত সব বিও হিসাব বন্ধ করে সেখানে থাকা সব সিকিউরিটিজ সাত দিনের মধ্যে অনুমোদিত বিও হিসাবে স্থানান্তরেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। অর্থাৎ বৈধ অনুমোদন ছাড়া যেসব বিও হিসাব খোলা হয়েছে, সেগুলো বন্ধ করে সেখানকার সব শেয়ার বৈধ বিও হিসাবে স্থানান্তরের জন্য কাস্টডিয়ানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া রেইসের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ১০ দিনের মধ্যে তাদের পদক্ষেপ ও সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কমিশনে হালনাগাদ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

রেইসের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে ১০টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। আর দুটি বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের পরিচালিত ফান্ডগুলো হলো- এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ইবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, রেস স্পেশাল অপরচুনিটিস ইউনিট ফান্ড, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড এবং রেস ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুসন ইউনিট ফান্ড।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান পুনর্নির্বাচিত
পরবর্তী নিবন্ধঅষ্টম শ্রেণি চালুর জন্য প্রস্তুত ১৫৪ স্কুল