সরকারের সহযোগিতা বন্ধ হলে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাবে পোশাকশিল্প : বিজিএমইএ সভাপতি


নিউজ ডেস্ক : পোশাকশিল্পের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান কচি। তিনি বলেন, কোনো কারণে সরকারের সহযোগিতা বন্ধ হলে আমরা প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাবো। বিনিয়ােগ বাধাগ্রস্ত হবে।

শনিবার (১ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে বিজিএমইএ পর্ষদের মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান এস এম মান্নান কচি। এসময় বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী, সিদ্দিকুর রহমানসহ বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এস এম মান্নান কচি বলেন, অমরা ২০৩০ সাল নাগাদ পোশাকশিল্প হতে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্য নিয়েছি। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারের নীতি সহায়তা আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন। এ সহায়তা না পেলে লক্ষ্য পৌঁছানো কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।

সরকার অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে অর্থনীতিকে পরিচালনা করছে, যার প্রশংসা আন্তর্জাতিকভাবে আমরা পাচ্ছি। আমাদের একান্ত প্রত্যাশা, সরকার শিল্পের জন্য সব সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন। মনে রাখা জরুরি, সহযোগিতা কোনো কারণে বন্ধ হলে আমরা প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাবো, বিনিয়ােগ বাধাগ্রস্ত হবে।

এরই মধ্যে আমাদের সরাসরি রপ্তানিকারী কারখানার সংখ্যা পাঁচ হাজার থেকে দুই হাজার ২০০-তে নেমে এসেছে। আমরা যদি কারখানাগুলো টিকিয়ে রাখতে পারতাম, তাহলে রপ্তানি আরও বাড়তো এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো। তবে সর্ববৃহৎ কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাত হিসেবে পোশাকশিল্পের সন্তাবনা ও সক্ষমতা রয়েছে ঘুরে দাঁড়ানাের এবং আরও কর্মসংস্থান তৈরি করার। বিশ্ববাজারে আমাদের শেয়ার মাত্র ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অর্থাৎ আমাদের সামনে সুযোগ অপরিসীম। সরকারের সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে তৈরি পোশাকখাত দারিদ্র্যমুক্ত সােনার বাংলা এবং স্মাট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

এস এম মান্নান কচি বলেন, আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে আমাদের রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর এক শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের ন্যায় শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ করে আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর করা হোক। একই সঙ্গে প্রণোদনার নগদ সহায়তার ওপর আয়কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি জানাই। আমরা চাই, ২০২৯ সাল পর্যন্ত ইনসেনটিভ অব্যাহত রাখা, পােশাকখাতের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা হোক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএইচএসসি পরীক্ষা ৩০ জুনই শুরু হবে : ঢাকা শিক্ষা বোর্ড
পরবর্তী নিবন্ধআনার হত্যার মূল মামলা ভারতে, তদন্তও ভারতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী