নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রেক্ষাপটে দেখি। এখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ, বন সবকিছুই এর সাথে জড়িত। পরিবর্তনের সমাধানটা সবকিছুকে নিয়েই করতে হবে।
শনিবার (১ জুন) সামরিক জাদুঘরে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আমরা গ্রহণ করেছি। এখন সেটা সাড়ে চার শতাংশের মধ্যে রয়েছে।বাংলাদেশের কার্বন নি:সরণের মাত্রা ১ শতাংশেরও কম, তারপরও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বেশ কিছু কারণ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রথমত এর খরচ অনেক কম। দ্বিতীয়ত, এখানে কর্মসংস্থানের অনেক সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া প্রযুক্তিগত দিক থেকেও আমাদের সুবিধা রয়েছে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো বিভিন্নভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব। কৃষিতে যেসব সেচপাম্প ব্যবহার করা হয়, সেগুলো সোলার পাম্পে রুপান্তরিত করা যেতে পারে। এছাড়া ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ নিয়েও কাজ করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ দায়ী না হলেও এর ভুক্তভোগী আমরাই। প্রতি বছর ক্লাইমেট চেঞ্জ ফান্ডে আমাদের প্রচুর টাকা বরাদ্দ দেওয়া লাগে। অন্যান্য দেশের তুলনায় জলবায়ু পরিবর্তনের যে অভিযোজন সক্ষমতা, সেটা আমাদের কম। ফলে এই বিপুল পরিমাণ টাকা আমরা অন্যান্য সেবাখাতে বিনিয়োগ করতে পারতাম কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে তা করা যাচ্ছে না। যা আমাদের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাকে কঠিন করে তুলছে।