নিউজ ডেস্ক : দুর্নীতি দমনে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা, কাঠামোগত সংস্কারের নিরন্তর উদ্যোগ চালিয়ে গেছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সরকার প্রধান বলেন, সরকারি কাজে গতিশীলতা আনয়ন, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, দুর্নীতি দমনে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন, সেবার মানোন্নয়ন এবং দফতর/সংস্থাসমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং সুশাসন প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ সুদৃঢ় করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১(২)-এর আলোকে সেবামুখী জনপ্রশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি আওয়ামী লীগ সরকারই সর্বপ্রথম ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চালু করে। এর ধারাবাহিকতায় আজ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ১১তম বারের মতো স্বাক্ষর হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বাস্তবায়নে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননাপ্রাপ্ত ১১টি মন্ত্রণালয়/বিভাগকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। সার্বিক মূল্যায়নে প্রথম স্থান অর্জনকারী বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১২ সালে শুদ্ধাচার চর্চা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করে। ২০১৫ সাল থেকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে উত্তম শুদ্ধাচার চর্চাকারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ব্যক্তি পর্যায়ে শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এর সচিব মো. মাহবুব হোসেনকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।