নিউজ ডেস্ক : আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করায় দেশের রপ্তানি কমার পর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে আমদানিও। যে কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কমেছে। যদিও গত মে মাসে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে দেড় বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) বাণিজ্য ঘাটতি ২০ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। তার আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে (প্রথম ১১ মাস) যা ছিল ২৬ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ২২ দশমিক ৮২ শতাংশ বা ৬ বিলিয়ন ডলার। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মে মাসে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে এক দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার।
যদিও বাণিজ্য ভারসাম্যের (ব্যালেন্স অব ট্রেড) ওপর চাপ কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে আমদানি ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। আলোচিত সময়ে রেমিট্যান্সে ১০ দশমিক এক শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও রপ্তানি কমে যাওয়ায় চলতি হিসাবের ঘাটতি কিছুটা বেড়েছে। মূলত বাণিজ্য ঘাটতি বেশি থাকায় রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি দিয়েও চলতি হিসাবকে উদ্বৃত্ত করা যায়নি।
রপ্তানি কমলেও জুলাই-মে সময়ে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ আমদানি কমায় বাণিজ্য ঘাটতির চাপ কিছুটা কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ৫৭ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। তার আগের অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে যা ছিল ৬৫ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার।
তথ্য বলছে, জুলাই-মে সময়ে রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৩৭ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার। বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৯ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার।
সার্বিক লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে সার্বিক লেনদেনেও ঘাটতি কমেছে। আলোচিত সময়ে ঘাটতির পরিমাণ ছিল (ঋণাত্মক) ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে ঘাটতি (ঋণাত্মক) ছিল ৮ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার।
কমেছে বিদেশি বিনিয়োগ
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাস বা জুলাই-মে সময়ে কমেছে মোট সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ। আলোচিত সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। জুলাই-মে সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময় ছিল ৪ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার।