বিএনপি-জামায়াত অহিংসতার নামে সহিংস আন্দোলন চালিয়েছে : জয়

নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র তাদের নিজেদের একটি সহিংস আন্দোলন চালাতে মূলত একটি অরাজনৈতিক ও অহিংস আন্দোলনকে ব্যবহার করেছে। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘এরকম শান্তিপূর্ণ একটি আন্দোলন কীভাবে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সহিংসতা ও লুটপাটের আন্দোলনে পরিণত হলো? কারণ যথারীতি বিএনপি ও জামায়াত জোট তাদের নিজস্ব একটি সহিংস আন্দোলন চালানোর জন্য মূলত একটি অরাজনৈতিক ও অহিংস আন্দোলনকে ব্যবহার করেছে।’

ওই পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘স্বার্থান্বেশী মহলের সম্পৃক্ততা উপলব্ধি করে, প্রতিবাদকারীরা নিজেরাই সহিংসতায় লিপ্ত থাকার কথা অস্বীকার করে বেশ কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছে এবং নিশ্চিত করেছে যে, এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে একটি তৃতীয় পক্ষ জড়িত রয়েছে, যার সঙ্গে প্রতিবাদকারীদের কোনো সম্পর্ক নেই।’

জয় বলেন, ‘গত কয়েকদিনে, এই কাপুরুষরা বিক্ষোভকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে জনগণকে আতঙ্কের মধ্যে ঠেলে দিয়ে ব্যাপক সহিংসতা চালিয়েছে। তারা আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সরকারি ও বেসরকারি পরিবহণ ও সম্পত্তি, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করেছে।’

জয় আরও বলেন, ‘তারা যেখানেই সুযোগ পেয়েছে সেখানেই সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তিতেও ব্যাপক লুটপাট করেছে। তারা একটি কারাগারে হামলা করে সব বন্দিকে মুক্ত ও অস্ত্র লুট করে। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের নজিরবিহীন মাত্রার সহিংসতার কারণেই সরকার সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন এবং অস্থায়ীভাবে কারফিউ জারির মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর কারণ হলো আরও কোনো সহিংসতা প্রতিরোধ, সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি রক্ষা এবং দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখা সরকারের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।’


দেশের শিক্ষার্থীরা মোটেও সন্ত্রাসী নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র তাদের বাংলাদেশ ভাঙার দলীয় এজেন্ডার আড়ালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত কীভাবে সাধারণ ছাত্রদেরকে বাংলাদেশ ভাঙার দলীয় এজেন্ডার জন্য ব্যবহার করেছে, বাংলাদেশের জনগণ রাষ্ট্রের এই শত্রুদের ক্ষমা করবে না।’

অন্য এক পোস্টে, জয় একটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করে উল্লেখ করেন, যখন আওয়ামী লীগ সরকার এবং ছাত্র আন্দোলনকারীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার বা বিলুপ্তি নিয়ে একই আন্দোলনে ছিল, তখন কীভাবে শান্তিপূর্ণ ও অরাজনৈতিক কোটা আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠল?

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা আরেকটি ভিডিও শেয়ার করে বলেছেন, এই ভিডিও থেকে তিনটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায়। তিনি বলেন, কোনো ছাত্র সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির প্রতি এতটা অবজ্ঞা প্রদর্শন করতে পারে না, এসব ঘটনার জন্যই কারফিউ আরোপ করতে হয়েছে এবং সরকারের এসব পদক্ষেপ তাদের একটি ইতিবাচক দায়িত্ব। বাসস

পূর্ববর্তী নিবন্ধসংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ মারা গেছেন
পরবর্তী নিবন্ধআজ থেকে সীমিত পরিসরে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন