২০৩৫ সালে দেশে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার হবে: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামুলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট অধিবেশনে সিলেট-৩ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এই তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেট্রোবাংলার অধীন রূপান্তরিত গ্যাস কোম্পানী লি. (আরপিজিসিএল)-এ জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন উৎপাদনে টেকসই ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতির ওপর উন্নত বিশ্বের চলমান অধিকতর গবেষণাসমূহের ফলাফল এবং গৃহীত কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহরে লক্ষ্যে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। ওই সেল গ্রহণযোগ্য তথ্যাদি প্রাপ্তির পর একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করবে। আশা করা যায় ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামুলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার সম্ভব হবে।

ভোলা- ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, ধনী, গরীব নির্বিশেষে সকলের জন্য সমতার ভিত্তিতে সুবিচার নিশ্চিত করা এবং বিচার ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধন করে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধ পরিকর। বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সঠিক বিচারের নিশ্চিয়তা প্রদান করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী মোট মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি। এ পর্যন্ত ৫৮টি জেলা এবং ৪৬৪টি উপজেলা সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহী এ ৫টি বিভাগ এখন সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত। অর্থাৎ এ সকল জেলা, উপজেলা ও বিভাগে কোন ভূমিহীন গৃহহীন মানুষ নেই।

ব্যারাক হাউজের মাধ্যমে আমরা ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৯ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮টি পরিবারকে পুনর্বাসন করেছি। ব্যারাক হাউজ ছাড়াও আমরা ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫৩টি পরিবারকে নিজ জমিতে বিনামূল্যে গৃহ নির্মাণ করে দিই। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫টি পরিবারের কাছে স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে ২ শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা একক ঘর হস্তান্তর করেছি। মুজিববর্ষে উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষ। ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমুল মানুষকে জমির মালিকানাসহ ঘর করে দেয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে ৬ হাজার ৯৪৫ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য তিন হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা।

সাতক্ষীরা-৪ আসনের এস এম আতাউল হকের প্রশ্নের সংসদ নেতা বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থ বছরের ১৩ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা থেকে ৯ দশমিক ১২ গুণ বাড়িয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এক লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ১১৯টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় এ সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ৭ ব্যাংকের সমঝোতা
পরবর্তী নিবন্ধপ্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে আপত্তি নেই ভারতের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী