কোটা বাতিলের দাবিতে আবারও শিক্ষার্থীদের শাহবাগে অবস্থান

নিউজ ডেস্ক : সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৩ জুলাই) বেলা ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে টিএসসি হয়ে আবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। অবরোধের ফলে শাহবাগ হয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে। অন্যথায় তারা লাগাতার আন্দোলন করবেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’- এমন নানা স্লোগান দেন ও প্ল্যাকার্ড দেখান।

আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সজিব হোসেন জানান, হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশ বাতিল করতে হবে। অন্যথায় আমরা লাগাতার আন্দোলন করবো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী কারিমুল ইসলাম জানান, বর্তমান কোটা পদ্ধতিতে একটি জাতি দাসে পরিণত হবে। এজন্য মেধাবীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাজারো শিক্ষার্থী কোটা বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো:

১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।

২. পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত)।

৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া।

৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

প্রসঙ্গত, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে গত ৫ জুন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৬০৯ কোটি টাকায় এক কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
পরবর্তী নিবন্ধচীনের কাছে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ চায় বাংলাদেশ