নিউজ ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ শুধু নিজ দেশেই নয়, সারা বিশ্বে তার প্রভাব রেখে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশে সমন্বিত গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য জলবায়ু সহনশীল জলজ ও মৎস চাষের প্রচারবিষয়ক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি৷
মন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলায় প্রতিটি মন্ত্রণালয় নিজ নিজ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আমরা লক্ষ করেছি। ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, সারা দেশে অপ্রত্যাশিত বৃষ্টিপাতের ধরন, খরা, ঘূর্ণিঝড় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ লাখ লাখ মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে৷’
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার ওপর প্রভাব ফেলেছে। আমাদের সরকার এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের সহযোগিতায় কাজ শুরু করেছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমন্বিত গ্রামীণ উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারভিত্তিক বিষয়। তার গতিশীল নেতৃত্বের ষষ্ঠ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দারিদ্র্য দূরীকরণ, গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গ্রামীণ উন্নয়ন ত্বরান্বিত ও টেকসই করার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানো হয়। আমি নিশ্চিত, এসব আমাদের ক্রমবর্ধমান কর্মশক্তিকে লাভজনক করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে বিকাশের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায়ও এই প্রধান ক্ষেত্রগুলোকে অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি মৎস্য ও জলজ চাষসহ গ্রামীণ উন্নয়নের বিভিন্ন দিকের ওপর নতুন করে জোর দেয়া হয়েছে।’
সিরডাপ মহাপরিচালক ড. চের্দাশাক ভিরাপাটের সভাপতিত্বে সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম সোহেল প্রমুখ৷