জামালপুর প্রতিনিধি :
জামালপুরের যমুনা নদীর পানি স্থির থাকায় বন্যার্তদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও এখনো বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানির স্রোতে প্লাবিত হচ্ছে নদ-নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ৪৫টি ইউনিয়নের আড়াই দুই শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। তবে জেলা প্রশাসন বলছেন ২৩ হাজার পরিবারের প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ১২ ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি কমলেও পুনরায় ১সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে স্থির রয়েছে এ ঘাট পয়েন্টে।
এদিকে বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। বানভাসি মানুষজন বসতবাড়িতে বাঁশের মাচা, নৌকায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।অধিকাংশ পরিবারের তিন থেকে চার দিন ধরে চুলা জ্বলছে না আগুন।
বানভাসিদের অনেকেই গবাদি পশুসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, উঁচু জায়গায় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়ে অতিকষ্টে দিন কাটাচ্ছে। বানভাসিদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবারের পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।
ইসলামপুরের সাপধরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম মন্ডল বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে আমার পুরো ইউনিয়ন বন্যার পানির নিচে। পানিবন্দি হয়েছেন ২০ হাজার মানুষ।
জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান বলেন, গত ১২ ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি কমলেও পুনরায় ১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হচ্ছে যা ২৪ ঘণ্টা ধরে এ ঘাট পয়েন্টে স্থির রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত বানভাসিদের জন্য ৬ উপজেলায় ১৭২ মেট্রিক টন চাল ও ১৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মজুত আছে ১২৭ মেট্রিক টন চাল ও ২৪৮৭ প্যাকেট শুকনো খাবার, যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।