চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
টানা তিন দিন ভয়াবহ বন্যার পানিতে ডুবে ছিলো চট্টগ্রামের বৃহত্তম উপজেলা ফটিকছড়ির বিস্তৃত জনপদ। শুক্রবার থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নেমে যাওয়ার পর বিভিন্ন এলাকায় ভেসে উঠছে ক্ষত চিহৃ। বন্যায় কোথাও রাস্তা ভেঙে গেছে, কোথাও ধসে পড়ছে গ্রামের কাঁচা ঘরবাড়ি। গ্রামের ছোট ছোট অনেক রাস্তা যেন অস্তিত্বহীন। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর নিজেদের বাড়িঘরের বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে অনেকে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
ফটিকছড়ি নাজিরহাট পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়কটি গত দিন দিন পানির নিচে তলিয়ে ছিলো। শনিবার পানি কমে সড়কটি ভেসে উঠলেও এর দুই পাশের গ্রামগুলোতে এখনও নৌযান চলাচল করছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সুয়াবিল ইউনিয়নের শোভনছড়ি এলাকায় গ্রামের অধিকাংশ কাঁচা রাস্তা ভেঙে গেছে। গ্রামের সবজি ক্ষেত, সব ফসলের জমি, মাছের ঘের ভেসে গেছে।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি বেশ দ্রুত নেমে যাচ্ছে। উপজেলার বাগানবাজার, নারায়াণহাট, হারুয়ালছড়ি, সুয়াবিল ইউনিয়নে পানি নেমে যাওয়ার পর অনেক কাঁচা ঘর ভেঙে পড়েছে। এই মুহুর্তে গ্রামগুলোতে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি পুনর্গঠনে সহযোগিতায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
এদিকে, ফটিকছড়িতে পানি কমে গেলেও গত ৪ দিনেও উপজেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল হয়নি। ফটিকছড়ি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অনেক স্থান এখনও পানির নিচে তলিয়ে থাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করা যাচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে।