ব্যাংকে নেই গ্রাহকদের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক দফা দাবিতে আজ থেকে চলছে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অনেক এলাকায় সংঘর্ষ হচ্ছে। এতে গ্রাহক সংখ্যা কমেছে ব্যাংগুলোতে।

ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার অনেক কাউন্টারই ফাঁকা। যারা ব্যাংকে এসেছেন তাদের বেশির ভাগই টাকা উত্তোলনের জন্য এসেছেন। রোববার (৪ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন ও ফকিরাপুল এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

অন্যদিকে আন্দোলন ভবিষ্যতে ভয়াবহ আকার ধারণ করে কি না এমন ভীতিও কাজ করছে অনেকের মধ্যে। এজন্য গতরাত থেকেই গ্রাহকদের ব্যাংকের এটিএম এবং এজেন্ট পয়েন্টগুলো থেকে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা তুলতে দেখা গেছে। রোববারও কিছু এটিএম বুথে নেটওয়ার্ক জটিলতা ও টাকা শেষ হওয়ায় বিভিন্ন বুথে দৌড়ঝাঁপ করছেন গ্রাহকরা।

সপ্তাহের প্রথম দিন আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। অন্যান্য দিন শুরু থেকেই গ্রাহকদের ভিড় থাকে। তবে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত গ্রাহকদের তেমন দেখা যায় নি ব্যাংকের শাখায়। টাকা জমার গ্রাহক হাতেহোনা।

এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, আজ অনেকেরই মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কি হচ্ছে, কোন দিকে যাচ্ছে পরিবেশ ইত্যাদি। এ কারণে গ্রাহকের উপস্থিতি কিছুটা কম রয়েছে। তবে পরিবেশ ভালো থাকলে দুপুরের পর বাড়তে পারে গ্রাহক। একই কথা জানান সোনালী ব্যাংক এবং বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংকের দিলকুশা শাখার কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, স্বাভাবিক সময়ে চলবে ব্যাংক, আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। লেনদেনের স্বার্থে ব্যাংকগুলোর বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশনা আগে থেকেই দেওয়া আছে।

তিনি বলেন, তবে যদি অস্বাভাবিক লেনদেন হয় সে ক্ষেত্রে তো সমস্যা হবে। আর নেটওয়ার্ক জটিলতার বিষয়টি ব্যাংকগুলোর নিজস্ব বিষয়। কোনো ব্যাংকের লেনদেনসহ যাবতীয় অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেই। এছাড়া ব্যাংকগুলোর ভোল্টসহ সব শাখা-উপশাখায় নিরাপত্তা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধআন্দোলন দমনে পুলিশ প্রবিধান অনুসরণ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ