নিউজ ডেস্ক:
তিন সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে সবজির দাম। আগের চেয়ে ব্রয়লার মুরগির দামও কমেছে কিছুটা। তবে বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। বাজারে মাছের দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, বন্যার কারণে মাছ চাষিদের মাছ ভেসে গেছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ও এলাকাভিত্তিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে পাঙাস, তেলাপিয়া, চাষের কৈ-সহ সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে।
বাজারে প্রতি কেজি পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৩০-২৫০ টাকায়, চাষের কৈ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৮০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ২৮০-৩৫০ টাকায়, কাতল প্রতি কেজি ৩২০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাপিলা প্রতি কেজি ৬০০ টাকায়, সরপুঁটি প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, রুপচাঁদা প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায়, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০-৪৫০ টাকায়, গুলশা টেংরা প্রতি কেজি ৫০০-৬০০ টাকায়, টেংরা প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি ৪২০-৪৮০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৫০-৭০০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৪০০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে।
রাজধানীর মতিঝিল বাজারে সপ্তাহের ছুটির দিনে বাজার করতে কালাম বলেন, আগে আমরা মাছে ভাতে বাঙালি ছিলাম। এখন আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের জন্য মাছ কিনে খাওয়াই কঠিন। দীর্ঘদিন ধরে মাছের দাম অতিরিক্ত বেশি যাচ্ছে। এই দিকে সরকারের কেউ নজর দিচ্ছে না। এখন আমাদের মতো গরিবদের পাঙাস, তেলাপিয়া, চাষের কৈ মাছের দামও বেশিতে গিয়ে ঠেকেছে। আর ভালোমানের মাছের তো কেনার সক্ষমতা নেই। বাজারে অনেক কিছুর দামই আগের চেয়ে কমেছে শুধু ব্যতিক্রম মাছের বাজার। সেই যে বেড়েছে মাছের দাম, তা আর কমার কোনো নামই নেই।
রাজধানীর মহাখালী বাজারের মাছ বিক্রেতা বলেন, এখন বন্যা পরিস্থিতির কারণে তুলনামূলক মাছের দাম বেড়েছে। তবে দুই এক বছর ধরে মাছের ফিডের (খাবারের) দাম কয়েক দফায় বেড়ে যাওয়ার পর থেকে মূলত বাজারে মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। ফিডের দাম কমলেই ফের সব ধরনের মাছের দাম হয়ত কমবে।