নিউজ ডেস্ক : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, দেশে দাবি-দাওয়ার মৌসুম চলছে। সব দাবি পূরণ করলে দেশ মূল্যস্ফীতিতে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, এসব দাবি-দাওয়ার সঙ্গে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আছে। সরকারের যদি রাজস্ব না বাড়ে কিংবা অন্যান্য আয় যদি না বাড়ে, তাহলে কোথা থেকে দেবে?
রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে মেট্রোরেলের সচিবালয় স্টেশনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আগারগাঁও থেকে মেট্রোরেলে করে সচিবালয় স্টেশনে আসেন।
মেট্রোরেলের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর দাবি নিয়ে সড়ক উপদেষ্টা বলেন, এখন যদি টাকা ছেপে আমরা দিতে পারি, তাহলে তো মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। এতে সাধারণ মানুষের অনেক কষ্ট হবে। সুতরাং এটি অনভিপ্রেত ঘটনা ছিল এবং আমরা চাই ভবিষ্যতে এমনটি ঘটবে না।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, সরকার মেট্রোরেলকে জরুরি সেবাভুক্ত (কেপিআই) প্রতিষ্ঠান করার কথা চিন্তা করছে। এতে যেন ভাঙচুর না হয়, সে জন্য কেপিআই হিসেবে আপগ্রেড করার চেষ্টা করছি, যাতে নিরাপত্তা বাড়ে। যাতে করে কেউ সার্ভিসটা ব্যাহত করতে না পারে।
তিনি বলেন, আমি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পরই প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, তোমার প্রথম কাজ হবে মেট্রোরেল চালু করা। সেটাই আমি করেছি। এখানে বোর্ড পুনর্গঠন করতে হয়েছে। বোর্ডের সভা ছিল, কিছু দাবি দাওয়া ছিল, এসব আমরা দেখেছি।
তিনি আরও বলেন, ১৭ তারিখ মেট্রোরেল চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য তা চালু করা সম্ভব হয়নি। আপনারা জানেন এটি বড় অন্যায় কাজ করেছে। তিন লাখ যাত্রীকে জিম্মি করে কোনো দাবি আদায়ের চেষ্টা শুভ লক্ষণ নয়।
মেট্রোরেলে যারা ভাঙচুর বা ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক উপদেষ্টা বলেন, আপনারা সবাই জানেন, যারা দেশকে পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করেছেন, তাদের পক্ষে এ ধরনের কাজ তো করা সম্ভব নয়। এটি (মেট্রো স্টেশনে ভাঙচুর) দুষ্কৃতকারীদের কাজ। আপনাদের কাছে তাদের ভিডিও আছে, ফুটেজ আছে, আমরা এর জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।
মেট্রোরেলের বন্ধ দুই স্টেশনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে এমডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তিন-চারদিন আগে, মেট্রোরেলের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সঙ্গে আলাপ করেছি। অন্য লাইনগুলো চালুর বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আজ বিকেলে জাপানের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন। কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশন কীভাবে চালু করা যায়, তা নিয়ে আলাপ হবে।